ইন্টারনেট ‘ধীরগতি’ থাকার কারণে অব্যবহৃত ডাটার পরিবর্তে বোনাস ৫ জিবি ইন্টারনেট ডাটা থেকে ৫০০ এমবিও ব্যবহার করতে পারেনি বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ মোবাইল গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “টানা ১০ দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয়। বাংলাদেশ মোবাইল গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের দাবি ছিল, মোবাইল ইন্টারনেট চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকের অব্যবহৃত ইন্টারনেট ডাটা সচল করতে। কিন্তু বিটিআরসি গ্রাহকদের সঙ্গে আলোচনা না করে প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেয়, অপারেটর ৫ জিবি করে ইন্টারনেট ডাটা বোনাস হিসেবে দেবে।”
মহিউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, “মাসিক প্যাকেজ ব্যবহারকারীদের ছাড়া সাধারণ গ্রাহকদের বিকেল থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত ৫ জিবি ইন্টারনেট ডাটা প্রদান করে। যদিও টেলিটক গ্রাহকদের বোনাস দেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো ইন্টারনেটে গতি ৫০ কেবিপিএস এ নেমে আসে। সর্বোচ্চ গতি ছিল তিন এমবিপিএস। ফলে ইন্টারনেট ডাটা সর্বোচ্চ ২০ থেকে ৫০ জিবি খরচ করতে পেরেছে গ্রাহক।”
বুধবার বোনাসের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু অব্যবহৃত রয়ে গেছে প্রায় চার থেকে সাড়ে ৪ জিবি ইন্টারনেট ডাটা। এ বিষয়ে ৫ দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মোবাইল গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
দাবিগুলো হলো
১. ফোরজি গাইড লাইন অনুযায়ী সর্বনিম্ন গতি ২০ জিবিপিএস প্রদান করতে হবে।
২. গ্রাহকের অব্যবহৃত ইন্টারনেট ডাটা ব্যবহার করার সুযোগ দিতে হবে।
৩. ফেসবুকসহ সকল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুলে দিতে হবে।
৪. ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের জুলাই মাসের বিল ৫০% কম আদায় করতে হবে।
৫. রাস্তাঘাটে মোবাইল চেক করার নামে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া সাধারণ গ্রাহকদের যেন হেনস্তা করা না হয়।
আগামী দুই দিনের মধ্যে দাবি মেনে না নিলে রোববার (৪ জুলাই) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।