ওপেনএআই তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির সর্বশেষ সংস্করণ জিপিটি-৪ প্রকাশ করবে আগামী সপ্তাহে। নতুন এই সংস্করণটি বর্তমান চ্যাটজিপিটি-৩.৫ এর থেকেও ৫০০ গুণ বেশি শক্তিশালী জিপিট-৪।
টেক বিজনেস নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, নতুন মডেলটি যেকোনো ছবি থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া দিতে পারবে। যেমন যেকোনো খাবারের ছবি থেকে এর রেসিপি বলে দিতে পারবে। এছাড়াও যেকোনো ছবি দেখে ক্যাপশন ও বিবরণ লিখতে পারবে। বর্তমান চ্যাটজিপিটি-৩.৫ থেকেও ৫০০ গুণ শক্তিশালী জিপিটি-৪।
যেখানে চ্যাটজিপিটি-৩.৫ এ ব্যবহৃত হয়েছে ১৭৫ বিলিয়ন মেশিন লার্নিং প্যারামিটার। সেখানে জিপিটি-৪ ভার্সনে ১০০ ট্রিলিয়ন প্যারামিটার। যেখানে চ্যাটজিপিটি-৩.৫ কেবল চ্যাট করতে সক্ষম সেখানে জিপিটি-৪ ভিডিও, ছবি, সাউন্ডের মতো ডেটাও প্রসেস করতে পারবে।
নতুন সংস্করণ ২৫ হাজার শব্দ পর্যন্ত যেকোনো বিষয়ে মন্তব্য করতে পারবেন বলেও জানানো হয়েছে। যা চ্যাটজিপিটির চেয়ে প্রায় ৮ গুণ বেশি।
ওপেনএআই বলেছে, নতুন ভার্সনে এর সিস্টেমে বিভিন্ন ধরনের আপগ্রেড নিয়ে আসা হয়েছে
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান বলেন, “নতুন এই ভার্সনটি বার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। এছাড়া এপির পরীক্ষায় শীর্ষ স্কোর করতে সক্ষম হয়েছে।”
যদিও ফোর্বস এক প্রতিবেদন বলছে, ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্যাম অল্টম্যান জিপিটি-৪ এ ১০০ ট্রিলিয়ন মেশিন লার্নিং প্যারামিটার ব্যবহারের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, নতুন করে মেশিন লার্নিং প্যারামিটারই যুক্ত করা হবে না।
যদিও কিছু কিছু সূত্র থেকে দাবি করা হয়েছে, জিপিটি-৩ এর থেকে প্যারামিটার ১০০ গুণ বেশি থাকবে জিপিটি-৪ এ। সেক্ষেত্রেও তা ১৭ ট্রিলিয়নের বেশি হওয়ার কথা নয়।
জিপিটি-৪ প্রাথমিকভাবে চ্যাটজিপিটি প্লাস গ্রাহকদের জন্য প্রকাশ করা হবে, যারা পরিষেবাটির প্রিমিয়াম অ্যাক্সেসের জন্য প্রতি মাসে ২০ ডলার প্রদান করছেন। ইতোমধ্যে মাইক্রোসফটের বিং সার্চ ইঞ্জিন প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত করা হয়েছে। মাইক্রোসফট এখন পর্যন্ত ওপেনএআইতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
২০২২ সালের নভেম্বরে চ্যাটজিপিটি চালু হওয়ার পর থেকে কয়েক লাখ মানুষ এটি ব্যবহার করছে। চ্যাটজিটিপি গান, কবিতা, ডিজিটাল মার্কেটিং কপি, কম্পিউটার কোড তৈরি করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। চ্যাটজিটিপির মূল আকর্ষণ হলো মানুষের মতো যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারা। তবে এটি নানা উদ্বেগও সৃষ্টি করেছে। অনেকেই আশংকা করছেন, এটি একদিন মানুষের চাকরি কেড়ে নিতে পারে।