পৃথিবীর বুকে একটি গ্রহাণুর আঘাত এ গ্রহবাসীর জন্য সব সময়ই ভয়ঙ্কর এবং একটি দুঃস্বপ্নের মতো। আপনি হয়তো ৬৫ মিলিয়ন বছর আগে ‘চিক্সুলুব’ এর আঘাতের কথা শুনেছেন। যার কারণে পৃথিবীতে থেকে ডাইনোসরের মতো দৈত্যাকার সব প্রাণী বিলুপ্ত হয়েছিল। অথবা ১৯০৮ সালে একটি গ্রহাণু বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে সাইবেরিয়ায় আঘাত করার ঘটনাতো নিশ্চয় জেনে থাকবেন। যার আঘাতের ফলে একটি শকওয়েভে প্রায় ৮০ মিলিয়ন গাছ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।
এরকম একটি গ্রহাণু যদি বর্তমান পৃথিবীতে একটি জনবহুল শহরে আঘাত করে তাহলে কি ঘটবে? যদি সত্যিই সেরকম কিছু ঘটে তাহলে তা হবে মানব সভ্যতার জন্য সবচেয়ে দুঃখজনক এবং বিপর্যয়কর এক ইতিহাস। আর সমূহ এসব বিপদ থেকে পৃথিবী রক্ষা করার জন্য নাসা এবং অন্যান্য মহাকাশ সংস্থাগুলো পৃথিবীর একেবারে কাছে আসা কিংবা আসার সম্ভাবনা রয়েছে এমন গ্রহাণুগুলো সর্বদা নজরে রাখে।
তবে এবার এরকমই একটি দুঃসংবাদ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা) এর জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি। তারা জানিয়েছে, ২৫০ ফুটের এক বিশালাকার গ্রহাণু ঘণ্টায় ২৯ হাজার ৩৭৬ কিলোমিটার গতিবেগে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। ‘২০২০ বিভি ১৪’ নামের গ্রহাণুটি পৃথিবীর জন্য বড় ধরনের হুমকি বয়ে আনছে। অতীতের সব দ্রুতগতির রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেছে এটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এটি পৃথিবীর ৪ দশমিক ৩ মিলিয়ন মাইল দূর দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। এটা নিয়ে ভয়ের তেমন আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
তারা বলছেন, গ্রহাণুটি যেভাবে ভ্রমণ করছে-তাতে এটি পৃথিবীর খুব কাছাকাছি পাশ কাটিয়ে যাবে।
গবেষকেরা এখনই আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলছেন, গ্রহাণুটির পৃথিবীতে আঘাত হানার আশঙ্কা খুবই কম। ৪৯ হাজার বারের মধ্যে মাত্র একবার এটি পৃথিবীতে আঘাত করতে পারে।
গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে এখনও অনেক দূরে রয়েছে। যদিও সবসময় একটি আশঙ্কা থেকেই যায় যদি কোনো কারণে এটি তার কক্ষপথ পরিবর্তন করে তাহলে এটি আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করতে যথেষ্ট।