তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সবচেয়ে আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। যা নিয়ে মানুষের আগ্রহ কিংবা চিন্তার কোনো কমতি নেই। গত বছরের নভেম্বরে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত (এআই) চ্যাটবট ‘চ্যাটজিপিটি’ নিয়ে আসে। এরপর থেকেই চ্যাটজিপিটির জয়জয়কার চলছে।
বাংলাদেশেও অসংখ্য মানুষ চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করছেন। কিংবা অনেকেই একবার হলেও এটি ব্যবহার করেছেন। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশের চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের জন্য পাওয়া গেছে এক ভয়ঙ্কর তথ্য।
গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানি গ্রুপ আইবির থ্রেট ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফর্ম জানিয়েছে, গত ১ বছরে ২ হাজার ৪৬৩ জন বাংলাদেশি চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস হয়েছে। অপরদিকে ভারত রয়েছে তালিকার ১ নম্বরে। দেশটিতে ১২ হাজার ৬৩২টি অ্যাকাউন্টের তথ্য ফাঁস হয়েছে। ২০২২ সালের জুন থেকে ২০২৩ সালের মে মাসের মধ্যে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁসের দিক থেকে বাংলাদেশ দশম স্থানে রয়েছে।
আর গত ১ বছরে বিশ্বব্যাপী ১ লাখ ১ হাজার ১৩৪টি অ্যাকাউন্টের তথ্য ফাঁস হয়েছে। শুধু ২০২৩ সালের মে মাসেই ২৬ হাজার ৮০২টি অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হয়েছে। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের তালিকার শীর্ষে রয়েছে। সেখানে হ্যাকাররা ৪০ হাজার ৯৯৯টি অ্যাকাউন্টের তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই অ্যাপলিকেশনটি আপনার যেকোনো প্রশ্নের উত্তর হাজির করতে পারে। সবচেয়ে অভিনব হলো, প্রচলিত কম্পিউটার সফটওয়্যার বা অ্যাপলিকেশনের বাইরে গিয়ে সেখানে সে নিজের মতো বুদ্ধিমত্তা বা মানবিকতার ছোঁয়াও দিতে পারে।
সারা বিশ্বেই এখন চ্যাটজিপিটি নিয়ে একটা আগ্রহ তৈরি হয়েছে। শুধু জানুয়ারি মাসেই বিশ্বের প্রায় ১০ কোটি মানুষ চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেছে।
যদিও চ্যাটজিপিটি নিয়ে শুরু থেকেই অনেকের আশঙ্কার কারণও হয়ে উঠেছে। যা এই তথ্যের মাধ্যমে খানিকটা এগিয়ে গেল। বিশেষজ্ঞরা বলছে, অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে ব্যবহারকারীদের নিয়মিত তাদের পাসওয়ার্ড আপডেট করা উচিত এবং প্ল্যাটফর্মে টু-ফ্যাক্ট অথেনটিকেশন চালু করা উচিত।