• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্লুটুথের নাম কী করে ব্লুটুথ হলো?


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২, ০৪:০২ পিএম
ব্লুটুথের নাম কী করে ব্লুটুথ হলো?

মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন অথচ ব্লুটুথ চেনেন না, এমন মানুষ খুব কমই আছে। একটা সময় ছিল যখন মোবাইল থেকে মোবাইলে গান, ছবি বা অন্য কোনো ফাইল নেওয়ার জন্য ব্লুটুথই ছিল সেরা পছন্দ। ফাইল ট্রান্সফারে সময় একটু বেশি লাগলেও আমরা ঠিকই কাজ চালিয়ে নিতাম।

তবে ওয়াই-ফাই প্রযুক্তি আসার পর ফাইল ট্রান্সফারের জন্য আছে অনেক বিকল্প। এখন আমরা বিপদে না পড়লে ব্লুটুথকে আর মনে করি না। তবে ওয়্যারলেস হেডফোন আর স্পিকার আসার পর সেই ব্লুটুথের সাথে আমদের সম্পর্ক আবারো ভালো হয়ে গেল।

ব্লুটুথ আবিষ্কারের মূল লক্ষ্য ছিল তারহীন যোগাযোগ। এই পদ্ধতিটি সৃষ্টি করে এরিকসন কোম্পানি। তবে ব্লুটুথ নামটি তারা দেয়নি। 

আমরা কিছুটা হলেও জানি যে, ব্লুটুথ নামের একজন রাজা ছিলেন। তার পুরো নাম ছিল হেরাল্ড ব্লুটুথ। ৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে ডেনমার্ক ও নরওয়েকে একত্র করে শাসন করেছেন এই ভাইকিং রাজা।

এই সংযুক্ত করার কাজটি করে ব্লুটুথ প্রযুক্তিও। প্রযুক্তিটির সাহায্যে তারহীন সংযোগ স্থাপন করা যায় বিভিন্ন যন্ত্রের মধ্যে। এই দর্শনকে মাথায় রেখেই প্রযুক্তিটির নাম রাখা হয়েছিল ব্লুটুথ।

এরিকসন উদ্ভাবন করলেও প্রযুক্তিটি আরও উন্নত হয়েছে বেশ কয়েকটি কোম্পানির মিলিত প্রচেষ্টায়। ১৯৯০ সালে সেই জোটকে নেতৃত্ব দিয়েছিল বিখ্যাত ইনটেল কোম্পানি। জোটের অন্যান্য সদস্যরা ছিল নকিয়া, এরিকসন, তোশিবা ও আইবিএম। তবে এদের মধ্যে সম্পর্ক তেমন ভালো ছিল না। তাই নাম রাখার দায়িত্বটি পায় ইনটেল।

সে সময় রাজা হেরাল্ড ব্লুটুথ সম্পর্কে একটু পড়াশোনা করছিলেন ইনটেলের ইঞ্জিনিয়ার জিম কার্ডাখ। তাই চট করে তিনি তারহীন সংযোগ স্থাপনের এই প্রযুক্তিটির নাম রেখে দেন ব্লুটুথ। তবে কথা হয়েছিল নামটি পরে পাল্টানো হবে। কিন্তু ব্লুটুথ নামটি এতটাই মনে ধরেছিল সবার, যে কেউ আর পরে সেটি পাল্টাতে চাননি।

 

সূত্র: রিপলি’স বিলিভ ইট অর নট!

Link copied!