বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় সহজতর হচ্ছে মানুষের জীবন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি মানুষকে যেমন অনেক জটিল রোগ থেকে মুক্তি দিচ্ছে তেমনি নিত্যনতুন প্রযুক্তিও মানুষের জীবন বাঁচাচ্ছে। ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে ঘটেছে তেমনি এক ঘটনা।
হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, দন্ত চিকিৎসক নীতেশ তিওয়ারি গত কয়েকদিন ধরে শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করছিলেন। তবে সেটিকে তেমন পাত্তা দেননি তিনি।
ভেবেছিলেন এটা হয়তো সাময়িক ঘটনা। তাছাড়া বয়স ৩০ এর কম হওয়ায় দেহে হৃদরোগের মত জটিল কোন শারীরিক সমস্যা থাকতে পারে বলেও ধারণা করতে পারেননি তিনি। আর তাই কোনও কার্ডিওলজিস্টের কাছে যেতে আগ্রহী ছিলেন না।
এর মাঝে একদিন তিনি নিজের স্মার্ট ওয়াচটিতে ইসিজি ফিচার ব্যবহার করেন। অ্যাপেল ওয়াচ ৬ ঘড়িতে ইসিজি করতেই সেটি আট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন অ্যালার্ট দিতে থাকে।
শুরুতে তিনি স্মার্ট ওয়াচের এই তথ্যকে আমলে নেননি। তবে ১২ মার্চ ফের তার ঘড়ির ইসিজি রিপোর্ট একই তথ্য দেখা যায়। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েন চিকিৎসক নীতেশ ও তাঁর স্ত্রী।
এরপর হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে পরীক্ষা করতেই দেখা যায়, নীতেশের হার্টের একটি আর্টারি সম্পূর্ণ ব্লক হয়ে রয়েছে। ফলে যেকোন সময় তার হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা ছিল।
এ ঘটনার পর অ্যাপেলের সিইও টিম কুককে চিঠি লিখে ধন্যবাদ জানান এই দম্পতি। স্বামীকে নতুন জীবন দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান নেহা। আর নীতেশ বলেন, প্রথমে তিনি অ্যাপেল ওয়াচটিকে সাধারণ হাতঘড়ির মনে করেছিলেন। কখনও ভাবতে পারিনি এটা একদিন তার জীবন রক্ষা করবে।