ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর পদার্থবিজ্ঞানের দুটি তত্ত্বকে একে অপরের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়। এই প্যারাডক্সের বিষয়ে ১৯৭০ সালে জানান দেন স্টিফেন হকিং। এবার এই প্যারাডক্সের সমাধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
হকিংয়ের প্যারাডক্সের সমাধান উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়। বিবিসি এক প্রতিবেদনে এসব জানিয়েছে।
হকিংয়ের প্যারাডক্স অনুযায়ী, কৃষ্ণগহ্বর হলো মৃত নক্ষত্র, এর মধ্যাকর্ষন বল বেশ শক্তিশালী। ফলে এটার পৃষ্ঠতল থেকে আলো নির্গত হতে পারে না। পদার্থবিজ্ঞানের দুটি তত্বকে একে অপরের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয় ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর।
নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, কৃষ্ণগহ্বরের একটি বৈশিষ্ট রয়েছে। যেটাকে বলা হয় 'কোয়ান্টাম হেয়ার'। এই বৈশিষ্ট গাণিতিকভাবে প্যারাডক্সের সমধান দিবে।
এর আগে ১৯৬০ সালের দিকে কৃষ্ণগহ্বরের নো হেয়ার থিওরেম' তত্ত্বের অবতারণা করেন প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন আর্চিবল্ড হুইলার। গাণিতিক ব্যাখ্যা থেকে এ তত্ত্বের এমন নাম রাখেন তিনি। কারণ কৃষ্ণগহ্বরের ভর, ঘূর্ণন এবং চার্জ রয়েছে কিন্তু অন্য কোনো শারীরিক বৈশিষ্ট্য নেই। অর্থাৎ একে এক কথায় 'টেকো' বলা যায়। তাই এ তত্ত্বের নাম নো হেয়ার থিওরেম।
এই গবেষণা পরিচালনা করেছেন সাসেক্স, বলোনিয়া ও মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।
গবেষকদের মধ্যে একজন ইউনিভার্সিটি অফ সাসেক্সের অধ্যাপক জাভিয়ার চ্যালমেট।
তিনি বলেন, ''কৃষ্ণগহ্বরের ভেতর নক্ষত্রের উপাদানগুলো এক ধরণের ছাপ রেখে যায়। যার নাম দেওয়া হয়েছে কোয়ান্টাম হেয়ার।''
নতুন গবেষণায় কোয়ান্টাম হেয়ারের এই ধারণা ব্ল্যাকহোল সম্পর্কে পূর্ববর্তী ধারণার সম্পূর্ণ বিপরীত।