• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

প্রাণীজগতে কে কত বুদ্ধিমান?


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২২, ০৭:২৪ পিএম
প্রাণীজগতে কে কত বুদ্ধিমান?

হাজার বছরের সভ্যতার বিবর্তনে মানব জাতি এখন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর। তবে অনেক ক্ষেত্রেই প্রাণীজগতের অন্যান্য সদস্যদের বুদ্ধিমত্তাও মানুষকে অবাক করে। তাহলে চলুন জেনে নিই প্রাণীদের মধ্যে কে কেমন বুদ্ধিমান।

বিজ্ঞানীরা বুদ্ধিমত্তা বলতে মূলত সমস্যা সমাধান করার ও কোন ঘটনার সঙ্গে নিজের সংযোগ স্থাপনের দক্ষতার বিচার করে থাকেন। তাই যে প্রাণী পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে সমস্যার সমাধান করতে পারে তাকে তত বেশি স্মার্ট বা বুদ্ধিমান মনে করা হয়। জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে তেমনই কিছু বুদ্ধিমান প্রাণীর নাম উঠে এসেছে।

গবেষণা বলছে, লেখা পড়তে পারা এমনকি বানান ভুল ধরার মত দক্ষতা রয়েছে কবুতরের। আকারে ছোট হলেও তাদের মস্তিষ্কে মানুষের চেয়ে ছয়গুণ বেশি স্নায়ু কোষ রয়েছে।

গণনা করার পাশাপাশি বিভিন্ন জিনিস ব্যবহারের বিশেষ দক্ষ কাক। খাবার লুকিয়ে রেখে পরে সেটি খুঁজেও বের করতে পারে তারা। আয়নায় দেখেও চিনতে পারে নিজেকে।

এদিকে মাছেরা নিজের প্রতিচ্ছবি দেখে চিনতে পারলেও কাকের মত আত্মসচেতন নয়। অনেক সময় তারা আয়নায় নিজের প্রতিচ্ছবির সঙ্গে লড়াই করতে চেষ্টা করে। যদিও বিজ্ঞানীরা একবার এক মাছের শরীরে চিহ্ন এঁকে দিয়ে দেখেন মাছটি আয়নায় প্রতিচ্ছবি দেখে তা মুছে ফেলে।

অক্টোপাসের বুদ্ধি অনেকটা মানুষের মতো। মস্তিষ্ক ও আটটি শুঁড়ের অজস্র নিউরনের কারণে এটি অনেক জটিল কাজ করতে পারে। ভিন্ন ভিন্ন মানুষকে চিনতে পারে।

বুদ্ধিমান প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম ডলফিন। সামাজিক প্রাণী হিসেবেও তাদের খ্যাতি রয়েছে। মানুষের সঙ্গেও সহজেই মিশতে পারে তারা।

অন্যদিকে বুদ্ধিমত্তার দিক থেকে কুকুরের চেয়ে এগিয়ে আছে শূকর। গবেষণায় দেখা গেছে, একাধিক নির্দেশনা পালনের পাশাপাশি নাম ধরে ডাকলেও সাড়াও দিচ্ছে শূকররা। কম্পিউটারের মাউসের গতিবিধি এবং পর্দায় নড়াচড়াও সঠিকভাবে বুঝতে পারে তারা।

বিভিন্ন মানুষের ভাষার মধ্যে পার্থক্য ধরতে পারে কুকুর। নাম অনুযায়ী একাধিক বস্তু শনাক্ত করতে পারে তারা। যেকোন কাজে তার মালিককে সহযোগিতাও করতে পারে। তাই মানুষের বিশ্বস্ত সঙ্গী হচ্ছে কুকুর। তবে মানুষের সখ্যতা পছন্দ করলেও বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষায় বিড়ালদের বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই।

মানুষের ডিএনএর সঙ্গে ৯৮ শতাংশ মিল রয়েছে শিম্পাঞ্জির। তাই প্রাণীদের মধ্যে শিম্পাঞ্জিকেই সবচেয়ে বুদ্ধিমান মনে করেন অনেকে।

যদিও বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন, মানুষ সাধারণত অন্য প্রাণীর বুদ্ধিমত্তাকে নিজেদের গণনার ক্ষমতা বা অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে তুলনা করে যাচাই করে। অথচ প্রাণীদেরর বেঁচে থাকতে এসব দক্ষতার প্রয়োজন নেই। তাই কোন প্রাণী সবচেয়ে বুদ্ধিমান তা যাচাই করা সত্যিই দুষ্কর।

Link copied!