আধুনিক বিশ্বে ব্যবসায়িক দিক থেকে সবকিছুকেই কোন না কোনভাবে ভোগ্যপণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। চাহিদা আর যোগানের ভিত্তিতে নির্ণয় হয় তার মূল্য।
তাহলে আমরা যে গ্রহটিতে বাস করছি তার মূল্য কত হতে পারে, ভেবে দেখেছেন কী? বিশ্বখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্রেগ লাফলিন আবিষ্কার করেছেন এক মজার সূত্র। এর মাধ্যমে যেকোন গ্রহের বয়স, আকার, তাপমাত্রা, ভর ও প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা হিসেব করে বের করা যাবে এর মূল্য।
গ্রেগ লাফলিন তার সূত্র প্রয়োগ করে পৃথিবীর মূল্য নির্ধারণ করেছেন তিন হাজার ট্রিলিয়ন পাউন্ড। এই হিসেবমতে সৌরজগতে পৃথিবীকেই সবচেয়ে দামী গ্রহ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এছাড়াও মঙ্গল গ্রহের মূল্য ধরা হয়েছে মাত্র ১০ হাজার পাউন্ড। আর শুক্র গ্রহের মূল্য দেখা যাচ্ছে এক পয়সারও কম।
ক্যালিফোর্নিয়া-সান্তা ক্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লাফলিন নাসার কেপলার মহাকাশযানের মাধ্যমে গ্রহগুলোর মূল্যায়ন করেছেন। তবে মহাবিশ্বে প্রায় ১ হাজার ২৩৫টি গ্রহ থাকলেও বেশিরভাগই বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় এদের মূল্য নির্ধারণ সম্ভব হয়নি।
তার মতে, যেসব নক্ষত্র যত বেশি পুরানো, তার গ্রহগুলো তত বেশি প্রাপ্তবয়স্ক ও সুগঠিত। তাই কোন গ্রহের ভর বা আকার পৃথিবীর কাছাকাছি হলে সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যার ফলে এর মূল্যও অনেক বেশি।
এই ব্রিটিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানীর দাবি, গ্রহগুলোর এমন মূল্যায়ন মানুষকে উপলব্ধি করতে সাহায্য করবে যে আমাদের জন্য পৃথিবী কতটা মূল্যবান আর এর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ কতটা জরুরি।