যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘শিক্ষিত কর্মপ্রত্যাশী যুবদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে বেকারত্ব দূরীকরণ ও উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে ২০২৩ সাল থেকে দেশের ১৬টি জেলায় (ঢাকা, গোপালগঞ্জ, গাজীপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, রাজশাহী, নড়াইল, ঠাকুরগাঁও, ভোলা, শেরপুর, সিলেট ও সুনামগঞ্জ) যুব ও যুব মহিলাদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
ইতোমধ্যে যে সকল যুব ও যুব মহিলা প্রশিক্ষণার্থীরা প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে, তাদের ৭০ শতাংশের বেশি সরাসরি আয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে ও নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। উদ্যোক্তারা গত ১ বছরে প্রায় ১১ দশমিক ৫৭ লাখ ইউএস ডলার আয় করেছে।
প্রকল্পটি যুব সমাজের মাঝে প্রভূত কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সপ্তম ব্যাচে প্রশিক্ষণার্থী ভর্তির লক্ষ্যে গত ১ সেপ্টেম্বর ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর গত ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি আবেদন পড়ে। যেখানে প্রতি জেলায় ৫০টি আসন করে ১৬টি জেলায় মোট আসন সংখ্যা মাত্র ৮০০টি।
হিসেব করলে দেখা যায়, একটি আসনের বিপরীতে ৪৩ জনের অধিক প্রশিক্ষণার্থী ভর্তির জন্য লড়ছে। ঢাকাতেই ৫০টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে প্রায় ১২ হাজার।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকল জেলায় একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন সরেজমিনে পরীক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এই পরীক্ষা তদারকি করেন ওই ১৬টি জেলার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ও অন্যান্য প্রতিনিধি।
দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সময়োপযোগী এ ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের বেকার সমস্যা দূর হবে ও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা।
প্রকল্পটি পরিচালনা করছে দেশের স্বনামধন্য আইটি প্রতিষ্ঠান ‘ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড’।