১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের পরিচিত নাম ডিজাইন এন্ড সোর্স (ডিএসএল) গ্রুপের ২৪তম করপোরেট ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে গ্রুপটি তাদের করপোরেট ডে পালন করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসএল পরিবারের প্রধান নির্বাহী মো. জাহাঙ্গীর আলম, চেয়ারম্যান কাজী মাহজাবীন মমতাজ, পরিচালক রাশেদুল হাসান মাসুদ, ডিপিপিএলের পরিচালক আলমগীর হোসেনসহ শিল্প পরিবারের দেশি ও বিদেশি বায়ার, সাপ্লায়ার ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
ডিএসএল গ্রুপ প্রতি বছর প্রায় ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আয় করে আসছে। তাদের রয়েছে নিজস্ব ফ্যাক্টরি। যেগুলোর নকশা পরিবেশ বান্ধব। যা পোশাক শিল্পখাতে সবুজ অর্থনীতিতে অবদান রেখে আসছে।
সরকারি নীতি অনুসরণ করে ডিএসএল গ্রুপ তাদের কর্মীদের বেতন ও মজুরি প্রদান করার পাশপাশি বিশেষ সুযোগ সুবিধাও প্রদান করে। এছাড়াও ডিএসএল আরও কার্যকরভাবে দেশের আরএমজি শিল্পকে বিশ্ব দরবারে ছড়িয়ে দিতে এবং অধিকতর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
ডিএসএল পরিবারের প্রধান নির্বাহী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “বর্তমান পোশাক শিল্প একটি খারাপ সময়কে অতিবাহিত করছে। আপনার জানেন, করোনাকালীন একটি দীর্ঘ সময় পার করেছি। যা আমাদের ক্রয়ক্ষমতা কমিয়েছে। ডিএসএল গ্রুপ তখনো হার মানে নি। এখন অর্থনৈতিক বিপর্য়য়ের সময়। আমরা এখনো হার মানিনি। বর্তমান সময়ে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই দক্ষ এবং সময়োপযোগী, স্মার্ট পদক্ষেপ আমাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। ডিএসএল গ্রুপ শুরু থেকেই এই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই ভবিষ্যতের জন্য অবশ্যই গুছিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে এগুতে হবে।”
অনুষ্ঠানে ডিএসএল গ্রুপের চেয়ারম্যান কাজী মাহযাবীন মমতাজ বলেন, “আমরা প্রত্যাশা করি আমাদের চলার পথে যে টিম (দল) রয়েছে, তা টাইগার টিম হয়ে কাজ করবে। আমাদের ব্যাংকের পেছনে দৌঁড়াতে হয়। আমরা বিশ্বাস করি, দলবদ্ধতা সুদৃঢ় হলে, ব্যাংক আমাদের পেছনে দৌঁড়াবে। আসুন, নিজ নিজ স্থান থেকে শতভাগ কাজ করার ওয়াদা করি। আমাদের টিম যেনে টাইগার টিম হয়।”
ডিপিপিএল’র পরিচালক আলমগীর হোসেন বলেন, “আমরা যে উদ্যমতা নিয়ে কাজ করছি। সে একই উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করলে, আমরা আরও বহুদুর এগিয়ে যেতে পারবো।”
পরিচালক রাশেদুল হাসান মাসুদ বলেন, “একটি কোম্পানিতে কাজ করতে হলে, আমাদের মধ্যে নীতি-নৈতিকতা এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হয়। সে গুণাবলীগুলো একজন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর মধ্যে থাকলে কোম্পানির লক্ষ্য অর্জন সহজ হয়ে যায়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের পথ চলতে হবে, নিজেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বজায় রেখে।”
সবশেষে কর্পোরেট ডে`র আয়োজনে কেক কেটে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানা হয়।