• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফ্রান্সের উবারভিলিয়ে শহরে ভাষা ও সাংস্কৃতিক মেলা


সাখাওয়াত হোসেন হাওলাদার, ফ্রান্স
প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৩, ১২:৪২ পিএম
ফ্রান্সের উবারভিলিয়ে শহরে ভাষা ও সাংস্কৃতিক মেলা

ফ্রান্সের উবারভিলিয়ে শহরে ৫৭টি ভাষাভাষীর জনগোষ্ঠীর মানুষের অংশগ্রহণে ভাষা ও সাংস্কৃতিক মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রোববার (৪ জুন) স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় শহরের ‘ভাষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’ এবং ‘মেরির’ যৌথ উদ্যোগে এই মেলার আয়োজন করা হয়।  

মেলার উদ্বোধন করেন উবারভিলিয়ে শহরের মেয়র Madame Karine Franclet। ভাষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রেসিডেন্ট কার্লোস সামদুর পরিচালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্স উদীচীর সভাপতি কিরণময় মণ্ডলসহ শহরের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।

ভাষা ও সাংস্কৃতিক মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘উদীচী ফ্রান্স সংসদ’ এবং ‘বাংলা ভাষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের’ ছাত্রছাত্রীরা বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ সংগীত পরিবেশন করেন। পাশাপাশি শিল্পীরা আরও একটি গান ও দুটি নৃত্য পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানের সংগীত পরিচালনায় ছিলেন বাংলা ভাষা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শিক্ষক ও উদীচী ফ্রান্স সংসদের সহসভাপতি রোজী মজুমদার এবং নৃত্য পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ছিলেন বাংলা ভাষা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শিক্ষক ও উদীচী ফ্রান্স সংসদের নৃত্য বিভাগের নির্বাহী সম্পাদক জি এম শরিফুল ইসলাম।

এবারের আয়োজনে ৫৭টি ভাষাভাষীর জনগোষ্ঠী অংশ নেয়। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে শহরের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ছোট ছোট স্টলের মাধ্যমে তাদের দেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতি মেলায় আগত সবার সামনে তুলে ধরেন। উদীচী ফ্রান্স সংসদ তাদের নিজস্ব স্টলের দেশে সংস্কৃতি বহন করে, এমন পণ্যের সমাহার করে বিদেশিদের মাঝে বাংলাদেশকে তুলে ধরেন।

২০১১ সালে উদীচী ফ্রান্স সংসদের উদ্যোগে ৫টি ভাষাভাষীর জনগোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়ে বায়ান্নর মহান ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এই আয়োজন করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১২ ও ২০১৩ উদীচীর একক উদ্যোগে এই আয়োজন হলেও ২০১৪ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত মেরি ও উদীচী ফ্রান্স সংসদ যৌথভাবে উবারভিলিয়ে শহরের বিপুলসংখ্যক ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়ে এই আয়োজন করে আসছিল।

২০১৭ সাল থেকে আয়োজনের ব্যাপকতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মেরি ফ্রান্স উদীচীকে উদ্যোক্তা হিসেবে রেখে শহরের অন্য সব জাতিগোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়ে ভাষার ও সাংস্কৃতিক এই মেলা বৃহৎ আকারে শুরু করে।

Link copied!