• ঢাকা
  • বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

অভ্যর্থনা-রাষ্ট্রাচারে আটকা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা


কবির য়াহমদ
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২, ০৬:১৭ পিএম
অভ্যর্থনা-রাষ্ট্রাচারে আটকা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা

চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার ভারত গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশটির রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম জারদোশ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় বিমানবন্দরে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনাও দেওয়া হয়। গুরুত্বপূর্ণ এই রাষ্ট্রীয় সফরে ব্যবসা-বাণিজ্য, জ্বালানি, অভিন্ন নদ-নদীর পানিবণ্টন ও রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর গত এক যুগের বেশি সময় ধরে চলা দুই দেশের সম্পর্কে আরও শক্ত ভিত্তির পথ দেখাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। বাংলাদেশের জন্মপ্রক্রিয়ায় ভারতের সর্বাত্মক সমর্থন-সহযোগিতা স্মরণ করে মানুষ। পাশাপাশি আছে সন্দেহ-অবিশ্বাস। এর সিংহভাগ ভারতবিরোধী রাজনৈতিক ধারণা থেকেই উদ্ভূত, বিশেষ করে পাকিস্তানি ভাবধারার মানুষের ব্যাপক প্রচারণার ফসল। এই সন্দেহ-অবিশ্বাস কেবল এখনই নয়, খোদ মুক্তিযুদ্ধের সময়কালেও ছিল। এটা থাকবেই বলে ধারণা করা যায়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্কের বিষয়টি সুবিদিত। অনেকের ধারণা, ভারতের সমর্থন থাকায় গত দুই জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের মধ্যে রাজনৈতিক অসন্তোষ থাকলেও তার বৈশ্বিক প্রভাব পরিলক্ষিত হয়নি। কেবল কি বাংলাদেশের জন্যই ভারতের সমর্থন দরকার? সেটাও না পুরোপুরি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে এই অঞ্চলে জঙ্গিবাদের বিস্তার কঠিন হয়ে গেছে। যার সুফল ভোগ করছে ভারতও। ভারত এটা সরাসরি স্বীকারও করে।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও আঞ্চলিক বিষয়সহ কানেকটিভিটির বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। ভারত-বাংলাদেশের অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হবে। আলোচনায় আবশ্যিকভাবেই আসবে পানিসম্পদের কথা। দুই দেশের মধ্যকার অভিন্ন নদীগুলোর অমীমাংসিত বিষয় এই সফরের মধ্য দিয়ে মীমাংসার কাছাকাছি পৌঁছাবে বলে আমরা আশা করতে চাই। অভিন্ন নদী দুই দেশের বিশেষত বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, অথচ এই বিষয়টি দীর্ঘদিন দুই দেশের সরকারের কাছে উপেক্ষিত থেকেছে, অন্তত সমাধান না হওয়ায় এটা বলাই যায়। গত মাসে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক হয়েছে। শুনলে অবাক লাগে, এই বৈঠক হয়েছে দীর্ঘ বারো বছর পর। ওই বৈঠকে কুশিয়ারা নদীর পানিবণ্টন বিষয়ে একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে সত্য, কিন্তু বাকি নদ-নদীগুলো নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছাবেন বলে আমরা আশা করতে চাই। ভারতের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে বারবার এ নিয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও এ নিয়ে এখনো কোনো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণের বিষয়টি এই সফরের মধ্য দিয়ে আমরা দেখতে আগ্রহী। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি। ভারত থেকে আমরা যত পণ্য আমদানি করি, তার কাছাকাছিও রপ্তানি করতে পারি না। প্রধানমন্ত্রীর সফরের মধ্য দিয়ে এই বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার পথ উন্মোচন হবে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই।

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ, স্থিতিশীল ও নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের এই বন্ধুত্বপূর্ণ ও শ্রদ্ধার সম্পর্কের বাইরে আমাদের দেশে ভারত নিয়ে রয়েছে অযৌক্তিক বিরোধিতা। ভারত জুজু একটা সময় এতখানি প্রবল ছিল যে খোদ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একসময় বলেছিলেন, “আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে ফেনী পর্যন্ত ভারত হয়ে যাবে।” এ নিয়ে চারবারের মতো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু বাংলাদেশ ভারত হয়ে যায়নি। বরং শেখ হাসিনার সরকারের সময় ছিটমহলসহ আরও অনেক সমস্যার সমাধান হয়েছে। ভারত ও মিয়ানমারের দখলে থাকা আরেক বাংলাদেশের আয়তনের সমপরিমাণ কিংবা কাছাকাছি আয়তনের সমুদ্রসীমার মালিকানা পেয়েছে বাংলাদেশ। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি আছে সত্য তবে ভারতের বিশাল বিনিয়োগ পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের প্রাক্কালে পুরোনো সেই ভারত-বিরোধিতার রোগ ফের ফিরেছে। বিএনপির মহাসচিব ইতোমধ্যেই বলেছেন, ‘আমাদের পেছনে একটা তিক্ত এবং হতাশার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমরা প্রত্যেকবার আশা করেছি যে এবার বুঝি কিছু নিয়ে আসবেন। কিন্তু প্রত্যেকবার দেখেছি দিয়ে এসেছেন, নিয়ে আসেননি।’ এটা চিরায়ত ভারতবিরোধী রাজনীতির অংশ। সফর শুরুর আগেই এই সফর ব্যর্থ হবে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করে বসে আছেন বিএনপি নেতারা।

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটা জোর প্রচারণা ভারতের সমর্থন-সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ সরকার টিকে আছে। এই প্রচারণার পালে আরও হাওয়া জুগিয়েছে কিছুদিন আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের কিছু মন্তব্য। এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতার জন্য তিনি আওয়ামী লীগ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারতকে অনুরোধ জানানোর কথা বলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। দল ও সরকার তার বক্তব্যে বিব্রত হয়েছে। তিনি নিজে এরপর তার বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে দাবি করলেও সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এর প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে সরকারি দল আওয়ামী লীগের বেশ কজন নেতা তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য তার ব্যক্তিগত, সরকারের নয়। আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা তো আব্দুল মোমেন দলের কেউ নন, এমনও দাবি করেছেন। নানা মহলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সমালোচিত হয়েছিলেন। সমালোচনা চলমান থাকাকালে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে শেষ মুহূর্তে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাদ দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত সরকারপ্রধানের সাহসী সিদ্ধান্ত বলা যায়। মন্ত্রীর অযাচিত মন্তব্যের কারণে সরকার যে বিব্রত হয়েছে, অন্তত এই সিদ্ধান্তে স্পষ্ট হয়েছে। যদিও বলা হচ্ছে, ‘অসুস্থতার কারণে’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ভারত সফরে যাননি, তবে এটা যে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরকারপ্রধানের কঠোর বার্তা, তা বলাই বাহুল্য।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে আমরা কী চাই, এ নিয়ে যে আলোচনা হওয়ার কথা, সেটা হচ্ছে সামান্যই। অথচ এটা জরুরি ছিল। এখন দেশের মানুষের ভাবনায় আছে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী কী ধরনের অভ্যর্থনা পেলেন, সেটা নিয়ে। সোমবার প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে দেশটির একজন প্রতিমন্ত্রী স্বাগত জানিয়েছেন। এটাই এখন আলোচনার কেন্দ্রে। ভারতে বিদেশি অতিথি, বিশেষ করে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানানোর বিষয়ে দেশটির রীতি বা রাষ্ট্রাচার কী, এটা অনেকেই জানেন না। নানা সময়ে বিভিন্ন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের বিষয়ে আমরা যা দেখে আসছি তার ব্যতিক্রম হয়নি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে। আমরা যদি নরেন্দ্র মোদির শাসনামল দেখি তবে দেখা যায় তাদের রাষ্ট্রাচারের বাইরে অনেকের ক্ষেত্রে অনেকবার তিনি নিজে বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে অতিথিদের স্বাগত জানিয়েছেন। তার শাসনামালে ২০১৭ সালে শেখ হাসিনা প্রথমবার দেশটি সফর করার সময় ‘প্রটোকল ভেঙে’ বিমানবন্দরে উপস্থিত হন নরেন্দ্র মোদি। এ নিয়ে তিনি সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। সে সময় বিমানবন্দরে অভ্যর্থনার দায়িত্বে ছিলেন দেশটির তৎকালীন একজন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও সংগীতশিল্পী বাবুল সুপ্রিয়। মোদি উপস্থিত থাকলেও রীতি অনুযায়ী অভ্যর্থনার দায়িত্ব পালন করেন বাবুল সুপ্রিয়ই। এর দুই বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে গেলে তখন নরেন্দ্র মোদি নিজে আর বিমানবন্দরে যাননি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত বিজেপি এমপি দেবশ্রী চৌধুরী।

দেশে রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে অনেকেই বলতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান পাননি। এটা যে স্রেফ রাজনৈতিক কৌশল, তার প্রমাণ মেলে নানা ঘটনায়। নরেন্দ্র মোদির শাসনামলে ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল চার দিনের সফরে ভারতে যান। দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব প্রতাপ রেড্ডি। একই বছরের এপ্রিলে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ভারত সফরে গেলে তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান ক্রীড়ামন্ত্রী বিজয় গোয়েল। পরের বছর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ভারত সফরে গেলে তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতে গেলে আহমেদাবাদ বিমানবন্দরে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে ট্রাম্প সরাসরি আহমেদাবাদ দিয়ে তার সফর শুরু করেননি, শুরু করেছিলেন নয়াদিল্লি হয়ে। এ বছর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ভারত সফরে গেলে তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী দিয়ে বিদেশি অতিথিদের স্বাগত জানানোর এই রাষ্ট্রাচার কিংবা রীতির বাইরেও অনেকবার নরেন্দ্র মোদি গেছেন। ২০১৯ সালে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ভারত সফরে গেলে তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান নরেন্দ্র মোদি। দেশটির প্রধানমন্ত্রীর এই মিশ্র ভূমিকা নিয়ে ভারতে সমালোচনা হয়েছে, তবে তিনি একই রাষ্ট্র কিংবা সরকারপ্রধানের ক্ষেত্রে বারবার প্রটোকল ভাঙেননি।

সংসদীয় গণতন্ত্রে উত্তরণের পর বাংলাদেশের আরেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সবশেষ তিনি ২০০৬ সালে ভারত সফর করেন। তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী স্বাভাবিকভাবেই যাননি, গিয়েছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ই. আহমেদ। সুতরাং বিমানবন্দরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত হননি বলে শেখ হাসিনা ভারতে সম্মান পাননি, এই প্রচারণার মাঝে কোনো যুক্তি থাকে না; থাকে ভারত সফরের মতো গুরুত্বপূর্ণ সফরকে গুরুত্বহীন প্রমাণের অন্য চেষ্টা।

বিদেশি অতিথিদের স্বাগত জানাতে ভারতের রীতি আর আমাদের রীতির মধ্যে অনেক পার্থক্য লক্ষণীয়। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের বাংলাদেশ সফরের সময়ে আমরা দেখে আসছি আমাদের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দরে উপস্থিত হন। এটা আমাদের রীতি বা রাষ্ট্রাচার হলেও বিশ্বজনীন রীতি নয়। দেশভেদে রীতিও ভিন্ন হয়; প্রতিবেশী ভারতকে দিয়েই আমরা এর প্রমাণ পাই। রীতির এই ভিন্নতায় আমাদের সামান্য কষ্ট হয়তো এখানে উঁকি দেয়, কারণ আমরা আমাদের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সেই সম্মান পাওয়া দেখতে আগ্রহী যেমনটা আমরা অন্যদের দিয়ে থাকি। তবে বাস্তবতা হলো, দেশে-দেশে রীতির ভিন্নতায় কাউকে প্রকৃত অর্থে দায়ী করা উচিত নয়। তবে আমরা চাইলে এই রীতি পাল্টাতে পারি, এবার প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে আলোচনার কারণে এর যৌক্তিকতা হয়তো মিলছে কিছুটা!

 

লেখক : প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক

Link copied!