রক্তসরোবর পেরিয়ে স্বাধীনতার স্বর্ণকমল প্রাপ্তির মাহেন্দ্রক্ষণে গোটা বাঙালি জাতি এক অভূতপূর্ব আবেগের সাক্ষী—মুক্তিযুদ্ধ অর্ধশত বছর করছে ৫ বছর হলো। পঞ্চাশ বছর বয়স সময়ের হিসাবে মোটেও কম সময় নয়; কিন্তু তাৎপর্যের দিক থেকে বাঙালি জাতির কাছে মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি দিন-ক্ষণ ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বাহান্নের বাংলা ভাষা রক্ষার আন্দোলনের ভেতর উৎসারিত একাত্তর; দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধের ফসল আজকের ‘বাংলাদেশ’ নামের একটি স্বাধীন ভূখণ্ড। এই ভূখণ্ড লাভ করতে যেমন অনেক রক্তক্ষয় হয়েছে, পাশাপাশি এই যুদ্ধের আড়ালেও হয়েছে অন্যরকম আরেক যুদ্ধের ইতিহাস। অথচ দেশের সমস্যা ক্রমশ যেন জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠছে। অভাব, দারিদ্র, দুর্নীতি, অন্যায়ের চিত্র, ক্রমাগত সাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির আস্ফালন, সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন চারপাশে বড়ই প্রকট। একই সঙ্গে ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতিকরণের রাজনৈতিক উত্তাপও জোরালো হচ্ছে। কিন্তু এ লড়াই—এ আত্মত্যাগ একটা ভূখণ্ড বা মানচিত্রের জন্য একদমই ছিল না।
মুক্তিযুদ্ধের ভেতর দিয়ে জাতি হিসেবে আমরা নিজেদের জন্য এমন একটি রাষ্ট্রকাঠামো পেতে চেয়েছিলাম, তা সুনির্দিষ্ট আদর্শ ও মূল্যবোধকে ধারণ করবে, জনমানুষের মধ্যে সেগুলো নির্বিঘ্ন চর্চার পরিসর তৈরি করবে। বাংলাদেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিল, তবে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব-স্বীকৃতি তাদের হাতে ওঠেনি। আবার তাদের বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ভাবা যায় না। আজও সেই অর্থে জনযুদ্ধই মুক্তিযুদ্ধ। কিন্তু শাসকশ্রেণিরা মধ্যবিত্ত-নিম্নশ্রেণি, মেহনতি, শ্রমিক শ্রেণির এ যুদ্ধের ফলাফলকে অস্বীকার করেছে। দলীয়করণের ভেতর দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের লিগ্যাসিকে কুক্ষিগত করেছে, ব্যক্তিকেন্দ্রিক কাল্টচর্চা অতিমূল্যায়নে অবমূল্যায়ন করেছে।
দুই.
ডিসেম্বর—দুই ধরনের অভিজ্ঞতা। একটি আনন্দের, অন্যটি অব্যক্ত বেদনার। যখনই ১৬ ডিসেম্বর আসে, তখনই আমাদের মনে পড়ে মুক্তিযুদ্ধের অসামান্য অর্জনের কথা, প্রিয়জনদের হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার কথা। এ সময় বাঙালিয়ানার আবেগ, যুদ্ধজয়ের আবেগ চারিদিকে দুন্দুভি বাজায়। আন্তরিক আবেগে যাকে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে চিহ্নিত করি, তাতে একাকার হয়ে আছে গণতন্ত্র, সাম্য, অসাম্প্রদায়িকতা, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র, মুক্তি, মানবাধিকার ও বাঙালিত্বের ধারণা। রাষ্ট্র ও সমাজে এসব চেতনা প্রতিষ্ঠা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধে একাত্ম হয়েছিল সব স্তরের মানুষ।
আমরা সেই দিনগুলোর কথা মনে করি, যখন আমাদের পূর্বপুরুষরা শ্রেণি-নির্বিশেষে একাট্টা হয়ে লড়াই করেছিল। লড়াই ভাষার অধিকার অর্জনের জন্য, লড়াই স্বশাসনের জন্য। এবং আমরা সে লড়াইয়ে জয় পেয়েছি। মহাকাব্যের লক্ষ্য বঞ্চিতের পক্ষে হলেও আধুনিক যুগে তা মঙ্গলকাব্যের সমান্তরাল হয়ে ওঠে না, দূরবঞ্চিতের কাছে পৌঁছে না সে জয়ের সুফল। শুধু বার্তা পৌঁছে। আর তাই একদিনের জন্য মহাউল্লাস। তবে এ-কালে ওই তৃণমূলস্তরের মানুষ কিছুটা বুঝদার হয়েছে। তাই তারা প্রশ্ন করে : ‘কই, আমার ভাগটা কই?’
কেননা জীবন-যাপনের যন্ত্রণা বড় ভোগায়। বিশেষ করে ভোগায় যখন বাজারে গিয়ে কিছু কেনাকাটা করতে হয়, যখন অসুস্থ প্রিয় মানুষের জন্য ওষুধপত্তর কিনতে হয়, কিংবা কিনতে হয় সন্তানের জন্য কাপড়চোপড় বা বইপুস্তক। এনজিওগুলোর ফাঁদে ধরা দিয়ে গ্রামীণ দরিদ্র বা ভূমিহীন মানুষের জীবন একাট্টা। অবশ্য কেউ কেউ বলেন, ‘ওদের কেনাকাটার ক্ষমতা আগের চেয়ে বেড়েছে, ভবিষ্যতে আরও বাড়বে’। হয়তো তাই। আসলে ওদের দিনমজুরি বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু জীবন-যাপনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম তো ভোগবাদী ব্যবসায়ী, শিল্পপতিদের কল্যাণে লাফিয়ে লাফিয়ে বহুগুণ বেড়ে চলছে।
তিন.
বিজয়ের অর্জন, কোন শ্রেণির ভাগে কতটা পড়ল এবং কারো ভাগে আদৌ পড়ল কি না। এ বিতর্কেও সেই পুরানো ও অকৃত্রিম উচ্চারণ—‘দরকার আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ’। মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর সময় কিছুটা থিতিয়ে এলে তৃণমূল স্তরে অনুধাবন ও প্রশ্ন—‘কী পেলাম? কতটুকু পেলাম? এই কি চেয়েছিলাম?’
শুরু হয় অসন্তোষ। অসন্তোষের কারণ লড়াইটা শেষ পর্যন্ত হয়ে উঠেছিল জনযুদ্ধ, রাজনীতিকদের হাত দিয়ে শুরু হলেও যুদ্ধের চরিত্রবদল ঘটে মাস কয়েকের মধ্যেই। ছাত্র, তরুণ, বুদ্ধিজীবী এবং সাধারণ মানুষ, এমনকি শ্রমজীবী শ্রেণির মানুষও স্বেচ্ছায় ও স্বতঃস্ফূর্ত আবেগে, গণহত্যার প্রতিবাদে এই জাতীয় যুদ্ধে যোগ দিয়ে লড়াইটাকে জনযুদ্ধে পরিণত করে।
লড়াইটা সর্বশ্রেণির, অর্থাৎ সম্মিলিতভাবে সংঘটিত হলেও নেতৃত্ব জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক শ্রেণি তথা শিক্ষিত মধ্যশ্রেণির হাতেই থেকে যায়। বাঙালিয়ানার প্রবল রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক আবেগ নিয়ে রণাঙ্গনের লড়াইয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন সত্ত্বেও রাষ্ট্রনৈতিক বিচারে বিষয়টা অনেকাংশে সাতচল্লিশের ক্ষমতা হস্তান্তরের মতোই হয়ে ওঠে। শ্রেণিবিশেষের হাতে যখন সব ক্ষমতা, তখন তা সেই শ্রেণির ভোগেই লাগবে, তাদের শ্রেণিস্বার্থেই ব্যবহৃত হবে, এটাই স্বাভাবিক। ছেঁচল্লিশ-সাতচল্লিশের সঙ্গে সত্তর-একাত্তরের রাজনৈতিক পরিবর্তন মিলে-অমিলে। প্রথম ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পরিবর্তন ব্যালট বিপ্লবে ও সাম্প্রদায়িক সংঘাতের ফলে, নেপথ্যে ধর্মীয় দ্বি-জাতি তত্ত্ব। আর দ্বিতীয় সমরখণ্ডে রাষ্ট্রিক পরিবর্তনে একদিকে ব্যালট বিপ্লব, অন্যদিকে সশস্ত্র লড়াই, নেপথ্যে অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়তার প্রেরণা। কিন্তু উভয় ক্ষেত্রেই শ্রেণিস্বার্থের বিষয়টি এক। ব্যাপক জনসমর্থন ও জনসংগ্রাম সত্ত্বেও দুই নব্য ভূখণ্ডই স্বার্থসিদ্ধি শিক্ষিত ও মধ্যশ্রেণির-সুবিধাভোগীরা হচ্ছেন রাজনীতিক, পেশাজীবী, ব্যুরোক্র্যাট-টেকনোক্র্যাট ও বণিক-মুসাহেবি শ্রেণি। শেষোক্তদের একাংশ অচিরেই শিল্পপতি এবং পরে রাজনীতিক।
পাকিস্তানে এই শ্রেণিস্বার্থ ধীরেসুস্থে অর্জিত আর রক্তভেজা মানচিত্রের বাংলাদেশে একই রকম শ্রেণিস্বার্থ অতিদ্রুত অর্জিত, যে অর্জনের পালা কখনো শেষ হয় না। ইদানিং অনেকের অভিযোগ, রাজনৈতিক দল ও শাসনে এখন বিত্তবান ধনিক ও শিল্পপতিদের প্রাধান্য। সেখানে মেধাবী শিক্ষিতদের স্থান নেই, যেমনটা আগে দেখা গেছে।
চার.
স্বাধীন স্বদেশে প্রায় সাড়ে পাঁচ দশক—সময়টা কম নয়। কিন্তু নানা টানাপোড়নে, সামরিক ও বেসামরিক শাসনের মধ্য দিয়ে যে পুঁজিবাদী শ্রেণির বিকাশ; কমপ্রেডর চরিত্রের সেখানে প্রাধান্য, সাম্রাজ্যবাদী বাণিজ্য সখার সঙ্গে আঁতাত। আর মুক্তবাণিজ্যের কল্যাণে গোটা অর্থনীতি পরনির্ভর, আধিপত্যবাদী পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে। সেই-সঙ্গে ব্যক্তিস্বার্থ, শ্রেণিস্বার্থ ও দলীয় স্বার্থের টানে দুর্নীতির রমরমা বাণিজ্য। বাঙালিয়ানার সুযোগ-সুবিধা সবই শিক্ষিত শ্রেণি, উচ্চশ্রেণির মহাবৃক্ষের গুঁড়িতে বাঁধা। সেখানে করপোরেট পুঁজি ও বাণিজ্য এক মহাবোধি বৃক্ষ।
এই বাঙালিয়ানার প্রতি বাড়তি মমত্ববোধ সাধারণ মানুষ তথা নিম্নবর্গীয়দের থাকবে কেন? ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ বলে যতোই চিৎকার করি না কেন, শোষণ থেকে মুক্তি ও বৈষম্য থেকে মুক্তি ঘটেনি বলে ওই চিৎকার সাধারণ মানুষের চেতনায় ছুঁতে পারে না।
বিজয় দিবস আসে-যায়, নিম্নশ্রেণিদের হৃদয়ে তার ছাপ পড়ে না। কেননা মুক্তিযুদ্ধের কথিত মুক্তি আসেনি, এসেছে বিজয়, তাও বিশেষ চেতনায়। এই টানাপোড়ন এবং সুশাসনের অভাব, অর্থনৈতিক উন্নতি সত্ত্বেও ও সামাজিক নৈরাজ্যের জন্ম দিয়েছে।
এর সুযোগ নিয়েছে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি, প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতি। অন্যদিকে ধর্মীয় জাতীয়তার নামে জেনারেল জিয়ার দল সেক্যুলার জাতীয়তার মূল চেতনার বিনাশ ঘটিয়ে পাকিস্তানমুখী রাজনীতির নয়া প্রকাশ নিশ্চিত করেছে। আশ্চর্য যে দেশের চরম উগ্র বামপন্থিদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে এই তথাকথিত জাতীয়তাবাদী রাজনীতি, যে রাজনীতি আত্মপরিচিতির নামে জাতিকে বিভক্ত করেছে। অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক জাতীয়তাবাদী চেতনার ব্যাপক দূষণ নিশ্চিত করেছে।
দেশভাগের ভেতর দিয়ে দ্বি-জাতি তত্ত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠার সম্প্রদায়গত ধর্মের নামে যে জাতি সৃষ্টির কথা, তা যে নিছক একটি ভ্রম, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এখানেই চলে ‘আমরা-ওরা’-র রাজনীতি, যার শিকার সাধারণ মানুষ। পোশাকি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি বর্তমান রাজনীতির অঙ্গ হয়ে উঠেছে। রাজনীতিক বা সামাজিক—সব বিষয়ে সাফল্যলাভের মূল ভিত্তি যে মানুষের সততা, সে কথাও বারবার উল্লেখ করতে হয়। এই সততা বা মনুষ্যত্ববোধই মানব ধর্ম। আপন চারিত্রিক উৎকর্ষ সাধনেই এই ধর্মের পালন করা যায়।
বাঙালি জাতীয়তাবোধ এখন বৃত্তাবদ্ধ আর প্রগতিবাদী রাজনীতি ঘরের এক কোণে ঠাঁই নিয়ে বিভাজনের খেলায় মত্ত। বোধ হয় প্রহর গুণছে। বাংলাদেশে বিভাজিত রাজনৈতিক চেতনার সংঘাতে এত ধূলোবালি উড়ছে যে তাতে রাজনৈতিক পরিবেশের দূষণ অনিবার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার চেয়ে বড় দুঃসংবাদ যে রাজনীতির প্রচলিত দুই ধারার বাইরে প্রগতিবাদী গণতন্ত্রের সুস্থ ধারার শক্তিমান আবির্ভাব প্রায় অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে।
পাঁচ.
শুধু সংস্কারের নিনাদ থেকে থেকে শোনা যায়, ৫৩ বছরের অনেক কিছু মেরামত চলছে। চোখ ধাঁধানো সব কাজ-কারবার। কিন্তু আসল কাজগুলো কি হচ্ছে! এই যে রাতের বেলায় অসংখ্য মানুষ ফুটপাথে তর তর করে কেঁপে কেঁপে রাত কাটাচ্ছে, কে দেখছে তাদের। বাজারে গেলে খয়রাতি বাড়ছে। এখানে কি দারিদ্রতা আর বৈষম্য বোঝায় না?
দেশের কাজ দশের কাজ এখন শুধু কথার কথা। আর আদর্শ কথা ফাঁকা আওয়াজ। অচল টাকার মতো হাত বদল হতে হতে আরও কিছুদিন চলবে। তারপর সেই চরম মুহূর্ত আসবে। যখন তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হবে, হৃৎপিণ্ড চিরদিনের মতো স্তব্ধ হয়ে যাবে। তার হয়তো খুব দেরি নেই। কিন্তু তার জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে। প্রতীক্ষারত অসংখ্য স্বপ্ন ও অগণিত প্রত্যাশা এবার বাস্তবায়িত ও সার্থক করার দায়-দায়িত্ব আমাদের সামনে। আমৃত্যু বিপ্লবী কমরেড জসীম উদ্দিন মণ্ডলের মতো বলতে হয়—‘এই পঁচাগলা-ঘুণে ধরা সমাজটাকে ভাঙতে হবে’।
ছয়.
‘বিজয় দিবস’ তাই আসছে-যাচ্ছে সম্পদশালীর ঘরে আলোর ঝলসানি ছড়িয়ে, দূর প্রান্তিকের ঘরে পৌঁছানো তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। এটা সম্ভব হতে পারে তখনই যখন লাঙল-কোদাল ফেলে যুদ্ধে যাওয়া মানুষগুলোর উত্তরপুরুষ বা উত্তরসূরি যদি পূর্ব চেতনার টানে নতুন করে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে, নেতৃত্ব গড়ে তুলতে পারে সমাজে সর্বজনীন বোধের প্রকাশ ঘটিয়ে। মতাদর্শহীন ভুবনে শ্রেণিসংগ্রাম কঠিন জেনেও মানবিক কল্যাণবোধে সংগ্রামী ঐক্য গড়ে তুলতে পারলে একদিন অর্জিত বিজয়কে নতুন মাত্রায় ঋদ্ধ করে তোলা সম্ভব হতে পারে। আর তেমন পরিবেশে শ্রেণিস্বার্থের বিজয় সর্বজনীন স্বার্থের বিজয় হিসেবেই চিহ্নিত হবে। ‘বিজয় দিবস’ সেই শুভক্ষণে সার্থকতা অর্জন করতে পারবে। তার খণ্ডিত চরিত্রের অবসান ঘটা এভাবেই সম্ভব। এ কাজে সচেতন তরুণ-যুবক শিক্ষিত মেধা ও প্রগতিবাদী সংস্কৃতিকর্মীরাই প্রথম হাল ধরবে—তাদের সুস্থ তৎপরতার জন্য দিন গুনছি।
লেখক : কবি ও সাংবাদিক