• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অনেক রক্ত ঝরছে, আর নয়


হাবীব ইমন
প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২৪, ০৩:০৭ পিএম
অনেক রক্ত ঝরছে, আর নয়

সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংস পরিস্থিতির মধ্যে ঢাকার কয়েকটি জায়গায় ঘুরে বেরিয়েছি। খুব কাছ থেকে দেখেছি, এ আন্দোলনে সাধারণ মানুষের অব্যক্ত সংহতি। ঘটনাপ্রবাহে এ আন্দোলনের আস্তিনে কী আছে, সেটা তাদের বিবেচনা নয়। তবে একটা বিষয় খুব পরিস্কার, ন্যায়বোধের আন্দোলন হলে দেশের মানুষ সেটাকে সমর্থন করেন। অনেক দিন ধরেই দেশে এ রকম জোরালো কোনো আন্দোলন নেই। ফলে এ আন্দোলন মানুষকে তাদের নিকটবর্তী হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।   

কয়েক জন প্রবীণের সঙ্গে কথা হলো, যাদের বয়স সত্তরের ওপরে। জানালেন তারা, একাত্তরেও এরকম পরিস্থিতি দেখেননি। পাকিস্তান আমলে ষাটের দশকে আইয়ুব খানের শিক্ষানীতি বিরোধিতা করেও ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন হয়েছিল। কিন্তু সেই আন্দোলনেও এত নিষ্ঠুরতা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তারা কিছুতেই মানতে পারছেন না ছাত্রদের ওপর এ রকম নিপীড়ন। তারা মনে করেন, শান্তিপূর্ণভাবেই শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে সমস্যার সমাধান করা যেত। 

আবার দেখলাম কিছু মানুষের ভেতর ভয়ভীতি, আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা মনে করছেন, এটা কেবল কোটা সংস্কারের আন্দোলন নয়, একটি অরাজনৈতিক আন্দোলনের ভেতর সুযোগ-সন্ধানী অশুভ চক্র সহিংসতা ও জীবনহানির ঘটনা ঘটেছে। যার ভবিষ্যৎ আরও খারাপের দিকে ইশারা করছে, একটি অশনি সংকেতের দিকে তা নির্দেশ করছে। মানুষের ভেতরে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। এ ক্ষোভ জনবিস্ফোরণে পরিণত হলে সরকার তার আয়েশী গদিখানা ঠিক রাখতে পারবে তো?

‘অরাজনৈতিক’ শব্দ নিয়ে কিঞ্চিত অ্যালার্জি আছে। আমার পর্যালোচনা বলে, যে কোনো অরাজনৈতিক আন্দোলনের ভেতর দিয়ে একটি প্রতিক্রিয়া চক্র বের হয়ে আসে। ইতিহাস বলে, ১৯৪১ সালের ২৬ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর মতো একটি প্রতিক্রিয়াশীল দল অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। এ ছাড়া অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে ছাত্র অধিকার পরিষদ গঠিত হলেও পরবর্তী সময়ে সেই সংগঠনটি রাজনৈতিক অর্থেই গণঅধিকার পরিষদ গঠিত হয়।    

শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনকে সামনে রাখলে সরকারের ব্যর্থতা চোখে আঙুল দেখিয়ে দেয়। পাশাপাশি নিরাপত্তাবলয় নিয়ে সরকারের অসহায়ত্বও প্রকাশ পেয়েছে। তবে অপরিমেয় রূপে তাৎপর্য হলো এসব ঘটনায় গণতন্ত্রের যে মূল্যবোধের অবক্ষয়, তার চিত্র সকরুণভাবে ফুটে উঠছে। এ আন্দোলনের পেছনে একটা সংগঠিত শক্তি আছে, যেটা দৃশ্যমান নয় এমন রাজনৈতিক মেরুকরণে কাজ করছে এ সময়। কেন এটা হলো?  এ প্রশ্নের উত্তর আমাদের খোঁজা আবশ্যক। কেবলমাত্র খোলা চোখে এটাকে দেখলে হবে না, তার নির্মোহ পর্যালোচনা করা উচিত।  

দুই।

কালক্ষেপণ আর বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে সরকার পরিস্থিতিকে চরম বিপজ্জনক পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। সমাধানের চাইতে দলীয় ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগকে লেলিয়ে এ আন্দোলনকে সহিংসতার দিকে নিয়ে যেতে উসকে দিয়েছে। অনেক আগেই ছাত্রলীগ তার দীর্ঘ ইতিহাস-ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ধ্বংসাত্মক এবং আইনবিরোধী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আধিপত্য বিস্তার, হল দখল, কক্ষ ভাঙচুর, তালা ঝুলিয়ে দেওয়া এবং লাঠি ও ইটপাটকেল ছুঁড়ে মারার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক পদ ছেড়ে দেন। কিন্তু এসবে কোনো ফল আসেনি।

এই ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনটি দেশের ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়, যখন এই সংগঠনের কিছু সদস্য বিশ্বজিৎ নামের একজন দর্জি দোকানদারকে হরতাল চলাকালে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের সময় কয়েকটি টিভি চ্যানেলের ক্যামেরায় ধরা পড়ে। সে সময় হাসপাতালে নেওয়ার পথে বিশ্বজিৎ মারা যান। তখন সরকারের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় জড়িত কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলা করা হয়। তাদের ফাঁসির রায় দেওয়া হয়। এ বিচারের জন্য সরকারকে আমরা ধন্যবাদ জানাতে দ্বিধা করিনি।

কিন্তু যখন নিজেদের জন্মবৃত্ত, ইতিহাস-ঐতিহ্য বিলোপ সাধন করে, অস্বীকার করে, তখন বুঝে নিতে হবে, সে আর্দশচ্যুত। বড় লজ্জার সঙ্গে, বড় নির্মম দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, এরা ‘নামে বঙ্গব্ন্ধুর ফেনা তোলে, কাজে কিছু না, কেবল বঙ্গবন্ধুকে বেচে’। এখন যারা ছাত্রলীগ করে, সেই কর্মীরা জানে কী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, জয় বাংলা কী, ধর্মনিরপেক্ষতা কী, ৬২’র শিক্ষা কমিশনের প্রতিবেদনে কী ছিল, ৬৬’র ছয় দফার কিংবা উনসত্তরের এগার দফার দফাগুলো কী কী ছিল, আগরতলা ষড়যন্ত্র কী, বাকশাল কী—এসব প্রশ্ন করলে ক্ষমতাবান ছাত্রলীগ কর্মীও নিশ্চুপ থাকে! আবার কেউ কেউ এসব ইতিহাস জানলেও তাদের রাজনৈতিক জীবনে তা প্রয়োগ করে না। তাদের মনে রাখা উচিত, এই ছাত্রলীগ থেকেই উঠে এসেছেন মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী ডাকসাইটের নেতারা, ছাত্রলীগেরই তোফায়েল আহমেদ শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ খেতাব দিয়েছিলেন।  

কিছু কিছু ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সফলতা রয়েছে। কিন্তু ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডই তাদের সেই সাফল্যে কালির আঁচড় পড়তে শুরু করেছে। ছাত্রলীগের লাগাম টেনে না ধরা হলে ভবিষ্যতে সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হবে। এখানে আর শিথিলতা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই। মানুষ এখন আর সর্ষের ভেতর ভূত দেখতে চায় না। মানুষ দেখতে চায়, সব শিক্ষাঙ্গনে স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রয়েছে। তাদের সন্তানরা নিরাপদে, নির্ভয়ে পড়াশোনা করতে পারছে।  

তিন।

গণতন্ত্রের মৌলিক উপাদানের মধ্যে বহুমত-বহুস্বর অন্যতম। কিন্তু কালক্রমে সেটি খর্ব হচ্ছে। যার ফলে হঠাৎ হঠাৎ ‘অরাজনৈতিক আন্দোলন’ উঁকি দিচ্ছে। একটা সময়ে সেটি আর অরাজনৈতিক থাকে না, সুযোগ-সন্ধানী রাজনৈতিক দল সেখানে হানা দেয়, তারা ভর করে অরাজনৈতিক আন্দোলনে; তারপরেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জনবলয় তৈরি হয়। এটা যে কোনো ইস্যুতে কোনো না কোনো উপায়ে বিভাজন তৈরি করে। অন্যদিকে, দেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশকে বিরাজনীতির দিকে ঠেলে দেয়।

রাজনৈতিক দল ও আদর্শ অবলম্বন করে দেশে যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা টিকে থাকে, সেটা অনেকটাই অনুপস্থিত। রাজনীতির জন্য যে জ্ঞান ও শৃঙ্খলা দরকার, সেটা এখন কোনো দলের মধ্যে নাই। এমনকি বামপন্থীরাও সেটা ধরে রাখতে পারেনি।

নিকট অতীতেও আমরা দেখেছি, গণজাগরণে লেখক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষকরা নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু এখন তারা সেই ভূমিকায় নেই। এখন সত্য বলার মতো বুদ্ধিজীবী কমে গেছে। আমরা নিজেদের নিশ্চলতাই এর মধ্যে দেখতে পাই। এই সংকটের কারণ হাঁটুভাঙা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা নয়, খুঁজতে হবে নিজেদের ভেতর, মেরুদণ্ডকে সোজা রেখে। আর এটা কোনো কঠিন কাজ নয়। সৎ ও সত্যের কাছে ঘুরে বেড়ালে এ কথার বলা মানে নেই যে, রাস্তা আমাদের পালিয়ে গেছে। সুবোধ আমাদের পালিয়ে গেছে।

চার। 

সরকার বলছে, জামায়াত-শিবিরের জঙ্গিরা মাঠে নেমেছিল! তার সঙ্গে দ্বিমত নেই। আপনারা সামলাতে পারলেন না কেন?  শুধু জামায়াত-শিবিরই মাঠে নেমেছিল? বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা তাণ্ডব চালিয়ে ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, এই কথা মেনে নিলেও ঘটনাবলির দায় থেকে তার অবস্থান অস্বীকার করতে পারে না সরকার।

সরকারের বক্তব্যকে আমলে নিলে প্রশ্ন থাকছে, জামায়াতে ইসলামী কীভাবে এত শক্তিশালী হলো? 

বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলগুলোর সীমাহীন ব্যর্থতার কারণে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী এ সংগঠনটির প্রসার ঘটেছে। মুক্তিযুদ্ধের পাঁচ দশক পার হওয়ার পরও একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি, তেমনি অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানেও ক্ষমতাসীনরা চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। মুক্তবাজার অর্থনীতিকে উন্নয়নের অব্যর্থ মডেল হিসেবে গ্রহণ করা হলেও দেশে কাঙিক্ষত শিল্পায়ন ঘটেনি। ফলে সমাজে শ্রেণিবৈষম্য তীব্র হয়েছে। উৎপাদন ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কহীন এক শ্রেণি শহুরে লুটেরা সীমাহীন জৌলুসি-আধুনিক জীবনযাপন, অন্যদিকে গ্রামে বিশাল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনজীবিকার পুরাতন সংগ্রামে স্ববিরোধী বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত কোনো সমাজ কখনো স্থিতিশীল হতে পারে না। একদিকে বেকারের সমস্যা, অন্যদিকে দুর্নীতি সর্বগ্রাসী রূপ ধারণ করে পুরো সমাজকে গিলে ফেলেছে। আমাদের দেশের শাসকগোষ্ঠীর ধারাবাহিক ব্যর্থতার ফলে আজ গ্রামীণ ও শহুরে নিম্ন-মধ্যবিত্ত দরিদ্র যুবশ্রেণির মনে যে হতাশা তৈরি হয়েছে, তাকেই সুপরিকল্পিতভাবে কাজে লাগানোর সুযোগ পাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। 

পাঁচ।

গত ১৫ বছরে বিএনপি যে নিজেদের একটি ব্যর্থ দল হিসেবে প্রমাণ করেছে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। না পেরেছে তারা কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে, না পেরেছে কোথাও কোনো ভূমিকা রাখতে। দলটির কাছে আমার প্রশ্ন, তাদের অর্জনটা কী? আবার ১৫ বছর আগে বেশ ঘটা করে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিল, সেই ইশতেহারের প্রতিপাদ্য ছিল—‘দিন বদলের সনদ’। তাদের এই সনদে তরুণদের বিশ্বাস ও আস্থা জন্মেছিল, আওয়ামী লীগ ধ্বংসাত্মক রাজনৈতিক চর্চাকে বদলে দেবে। একটি সুস্থধারার রাজনীতির দৃষ্টান্ত রাখবে তারা। কোথায় সেটি? তাদের মধ্যে এসব আছে এখন? বরং সহনশীল রাজনীতির পরিবর্তে প্রতিহিংসার রাজনীতিচর্চা করছে এ দুটি দল। কেউ তাদের সমালোচনা করতে পারবে না। এর নাম গণতন্ত্র? এ গণতন্ত্রের জন্য নূর হোসেন, আমিনুল হুদা টিটো, ডা. মিলনরা প্রাণ দিয়েছে? দুটো দলই স্বৈরাচারী মনোভাব দেখিয়ে যাচ্ছে। ক্ষমতায় থাকা, না থাকা নিয়ে যে পাল্টাপাল্টি অবস্থান, তাতে অকালে ঝরে পড়ছে কয়েকটি প্রাণ। তাদের রক্তের হোলি খেলায় শিশুরাও বাদ পড়ছে না।

গণতন্ত্রের পক্ষে রাজনৈতিক বিতর্ক খুবই ফলপ্রদ। এর ভেতর দিয়ে মতামতের প্রতিফলন ঘটে। বাক স্বাধীনতার পূর্ণ বিকাশ লাভ করে। তবে আমাদের দেশের রাজনৈতিক চাপান-উতোর নতুন কিছু নয়। যেকোনো ইস্যুতেই সারা বছর ধরে তা চলে। কিন্তু কয়েক বছরে ধরে রাজনৈতিক নেতানেত্রীরা কথা পিঠে কথা বলার সময় কোনো ভব্যতা-সভ্যতার ধার ধারছেন না। ফলে বিতর্ক রূপান্তরিত হয়ে যাচ্ছে খেউড়ে। বলাই বাহুল্য, সেসব বাণী অসৌজন্য এবং রুচিহীনতার পরিচায়ক। তার চেয়েও বড় কথা, নেতাদের বক্তব্য প্রায়শই হেয়মূলক, উস্কানিমূলক কিংবা প্ররোচনাভিত্তিক। তবে নেতাদের এসব বক্তব্যকে উৎসাহ দিচ্ছি আমরাই। হাততালি দিয়ে, ঢেউয়ের মতো গর্জন করে সভাসমাবেশে নেতাদের এইসব উস্কানি, প্ররোচনা, অসভ্যতাকে সমর্থন করে যাচ্ছি, প্রশ্রয় দিচ্ছি। পরম তৃপ্তিতে ভাবছি, ফাটিয়ে দিয়েছেন নেতা। অথচ কখনো ভাবছি না, সুস্থ বিতর্ক আর অসুস্থ খেউয়ের পার্থক্য। আজও ভাবছি না, অনাগত ভবিষ্যতে কী পরিণতি আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে!

মানুষ বৃহত্তর দুটি এ দলের প্রতি বিরক্ত। বিন্দুমাত্র আগ্রহও তাদের নেই। একটি দুঃসময় চলছে, এই দুঃসময়ে রাজনৈতিক মিত্রতা নেই। কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নই। ‘রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন’ চলছে। হায় রে রাজনীতি! এক দল ক্ষমতায় বসবে, অপর দল বের হয়ে আসবে, এই চলবে। আমরা সাধারণ মানুষ ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুর ধারে কাছে যাই না। আমরা আর সহিংস রাজনীতি চাই না। অনেক রক্ত ঝরছে। আমাদের ছাত্ররা পড়তে পারছে না। স্কুলে যেতে পারছে না। সেশনজটে পড়ে যাচ্ছে। চলমান এইচএসসি পরীক্ষা একের পর এক ‘স্থগিত’ কবলে পড়ে গেছে। এ পরীক্ষা কবে শুরু হবে, শেষ হবে, কেউ জানে না।  

এবার আপনারা আমাদের প্রতি দয়া করুন। জেদাজেদি ও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ কারো জন্য সুফল বয়ে আনে না।      

Link copied!