• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নতুন শিক্ষা কারিকুলাম, কিছু কথা


শিল্পী নাজনীন
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৩, ০৫:৪৮ পিএম
নতুন শিক্ষা কারিকুলাম, কিছু কথা

ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা,
ওরে সবুজ, ওরে অবুঝ,
আধমরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা।
রক্তে আলোর মদে মাতাল ভোরে
আজকে যে যা বলে বলুক তোরে
সকল তর্ক হেলায় তুচ্ছ ক’রে
পুচ্ছটি তোর উচ্চে তুলে নাচা।
আয় দুরন্ত, আয়রে আমার কাঁচা।

অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন কারিকুলাম যেন রবীন্দ্রনাথের সেই আধমরাদের ঘা মেরে বাঁচানোরই এক মোক্ষম অস্ত্র। যে অস্ত্রের আঘাতে আধমরাদের ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে দেশজুড়ে, যাদের ট্রলের শিকার হয়ে নাস্তানাবুদ দশা খোদ এই শিক্ষাব্যবস্থা প্রণেতাদের তথা সরকারের। কিন্তু কেন এত আলোচনা সমালোচনা? কী আছে এই নয়া কারিকুলামে? সে বিষয়টিতেই নজর দেওয়া যাক প্রথমে।

গত দশ বছর ধরে যে সৃজনশীল শিক্ষাপদ্ধতির প্রচলন ছিল দেশে, প্রথমত সেটি উঠে যাচ্ছে। চালু হচ্ছে একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা। অর্থাৎ নবম শ্রেণিতে উঠে বিভাগ বিভাজনের যে নিয়ম চালু ছিল এতদিন, এখন সেটি থাকছে না আর। এসএসসি পর্যন্ত এখন অভিন্ন সিলেবাসে পড়বে সব শিক্ষার্থী এবং দশম শ্রেণিতে গিয়ে মূল পাঁচটি বিষয়ে তাদের বোর্ড পরীক্ষা তথা এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে। এর আগের শ্রেণিগুলোতে থাকবে তাদের ধারাবাহিক মূল্যায়নের ব্যবস্থা। সুতরাং নয়া শিক্ষাব্যবস্থায় পরীক্ষা থাকছে না, পড়াশোনা থাকছে না, কথাটি সর্বৈব মিথ্যা। পরীক্ষা থাকছে, তবে সেটি গতানুগতিক ধারায় নয়, ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে, এই যা তফাৎ। আর পড়াশোনায় আদ্যিকালের প্রচলিত চোখ বন্ধ করে মুখস্থ করার যে গৎবাঁধা রীতি চলে আসছিল এতদিন, তাতে ব্যাপক পরিবর্তন আসছে, আসছে যোগ্যতাভিত্তিক মূল্যায়নের নতুন রীতি, যাতে একজন শিক্ষার্থী দক্ষ এবং মানবিক মানুষ হয়ে ওঠার প্রয়োজনীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ওঠার সুযোগ পাবে। সুতরাং জীর্ণ, পুরাতনেরা এই নতুনত্বের ঘা খেয়ে জেগে উঠে সমস্বরে সুর তুলেছে, গেল গেল রবে, যা অনেকটা প্রত্যাশিতই ছিল বলা যায়।

একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার ফলে এসএসসি পর্যন্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে একই বিষয় পড়তে হবে, ফলে তাদের ভিত মজবুত হবে, বিজ্ঞানমনস্কতা বাড়বে, বাড়বে মানবিক ও ব্যবসায়িক ধ্যানধারণা, এটি অবশ্যই এই শিক্ষাব্যবস্থার একটি ইতিবাচক দিক। এইচএসসিতে গিয়ে যখন বিভাগ বিভাজন হবে, তখন সেই সিলেবাসও তাদের উপযোগী এবং একই সাথে যুগোপযোগী করে প্রণয়ন করা হবে, যাতে সেখানে খাপ খাওয়াতে তাদের কোনো সমস্যা না হয়। তাহলে সমালোচনার কারণ কী? সে বিষয়ে আলোচনার পূর্বে এই শিক্ষাব্যবস্থার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানা দরকার। বলা হচ্ছে যে, শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনকে নান্দনিক ও আনন্দময় করার পাশাপাশি চতুর্থ শিল্পবিপ্লব এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে নিজেদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১’ প্রণয়নের প্রয়াসে এই নয়া কারিকুলাম প্রণয়ন করেছে সরকার।

নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় বলা হচ্ছে, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত দেশপ্রেমিক, উৎপাদনমুখী, অভিযোজনে সক্ষম সুখী ও বৈশ্বিক নাগরিক গড়ে তোলা’র অভিলক্ষ্যে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের আনন্দময় পড়াশোনার পরিবেশ সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে পাঠ্যপুস্তকের বোঝা ও চাপ কমিয়ে, গভীর শিখনের বিষয়ে গুরুত্বে মুখস্থ-নির্ভরতার পরিবর্তে অভিজ্ঞতা ও কার্যক্রমভিত্তিক শিখনের অগ্রাধিকার প্রদান করাই এ শিক্ষাব্যবস্থার মূল লক্ষ্য।

এ ছাড়া খেলাধুলা ও সৃজনশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদানে উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা যেন ক্লাসের পাঠ ক্লাসেই শেষ করতে পারে, যাতে করে বাড়ির কাজ বা হোমওয়ার্কের চাপ থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া যায়। ফলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাজীবন শেষে নির্দিষ্ট সময়ে অর্জিত পারদর্শিতায় প্রাপ্ত সনদে জীবন-জীবিকার সুযোগ পায়। যেকোনো দেশের শিক্ষা কার্যক্রমের মৌলিক উদ্দেশ্যই থাকে মূলত ব্যক্তির মানবিক গুণাবলির সুস্থ বিকাশ, যার মধ্য দিয়ে সে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখতে পারে। তবে এবারের শিক্ষাক্রম উন্নয়নে সর্বজনবিদিত দার্শনিক, ঐতিহাসিক, মনোবিজ্ঞান, বাস্তবসম্মতভাবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীর প্রতি অগ্রাধিকারের কথা বলা হচ্ছে। বিশ্বায়নের এই একবিংশ শতাব্দীর সূচনালগ্নে পৃথিবী প্রবেশ করেছে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে। দ্রুত পরিবর্তনশীল এই সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের প্রয়োজন বিশ্বের অন্যান্য দেশের ইতিবাচক পরিবর্তনকে আমলে নিয়ে নিজেদেরও সেভাবে তৈরি করা। আর তাই বিশ্বায়নের যুগে যোগ্যতার ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে হলে প্রয়োজন বৈশ্বিক নাগরিকত্বের ধারণাকে মাথায় রেখে নিজেদের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করা। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার মূল লক্ষ্য মূলত এটাই।

নাগরিকত্ব বা নাগরিকতা হলো কোনো সার্বভৌম রাষ্ট্র বা জাতির একজন আইনস্বীকৃত সদস্য হিসেবে পাওয়া কোনো ব্যক্তির পদমর্যাদা। এটি একটি ক্রমবিকাশমান ধারণা। অতীতে শুধু পুরুষ বা সম্পদের মালিকদেরই নাগরিক হিসেবে গণ্য করা হত। গত শতাব্দীতে রাজনৈতিক, সামাজিক ও নাগরিক অধিকার ভাবধারার ব্যাপক বিকাশের সাথে সাথে নাগরিকত্ব ধারণাটিরও বিবর্তন ঘটেছে। বর্তমানে নাগরিকত্বের ধারণা দেশে দেশে ভিন্নরূপে পরিলক্ষিত হয় যা প্রধানত রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক নিয়ামক দ্বারা প্রভাবিত। বিশ্বায়নের সাথে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে নাগরিকত্বের স্বরূপ ও মাত্রা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও নাগরিকত্বের ধারণা অতীতেও রাষ্ট্রীয় সীমারেখা অতিক্রম করেছে কিন্তু বৈশ্বিক পটভূমি পরিবর্তনের সাথে আন্তর্জাতিক চুক্তি, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সংস্থা, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ইত্যাদির কর্মকাণ্ড ও তৎপরতার ফলে ক্রমশ তা বিশ্বজনীন হয়ে উঠছে। তাই এটা অনস্বীকার্য যে, বিশ্বজনীন নাগরিকত্বের ধারণা সনাতন নাগরিকত্বের ধারণা হতে আলাদা এবং কখনো কখনো তা পরিপূরকও বটে। বৈশ্বিক নাগরিকত্বের দীক্ষায় দীক্ষিত যুবসমাজ বিশ্বের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে সক্ষম। একই সাথে মানবাধিকার, গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায়ও বৈশ্বিক নাগরিকত্ব গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।

‘বৈশ্বিক নাগরিকত্ব শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল একটি রূপান্তরকামী শিক্ষাব্যবস্থার প্রবর্তন করা, যা শিক্ষার্থীর জ্ঞান, দক্ষতা, আচরণগত পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে; যার মাধ্যমে সে একটি ন্যায় ও শান্তিপূর্ণ পৃথিবী তৈরিতে অবদান রাখবে। এটি এমন একটি বহুমাত্রিক শিক্ষাব্যবস্থা, যা বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক বিষয় হতে ধারণা ও পদ্ধতি ব্যবহার করে কাজ করে। যেমন- মানবাধিকার, শান্তি, টেকসই উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক শিক্ষা ইত্যাদি হতে উপকরণ সংগ্রহ করে। এখানে জীবনব্যাপী শিক্ষা (Lifelong Learning) অনুসরণ করা হয়, যা শৈশব হতে শুরু হয়ে সকল শিক্ষাস্তরজুড়ে চলমান থাকে এবং যা প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক, শিক্ষাক্রম এবং শিক্ষাক্রমের বাইরে বাড়তি জ্ঞানার্জন; প্রচলিত ও অপ্রচলিত উভয় পদ্ধতিকেই সমান গুরুত্ব দেয়।’ (ইউনেস্কো ২০১৫)

বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এ বৈশ্বিক নাগরিকত্বের মূল ধারণাসমূহ, মূল্যবোধ, ক্ষেত্র ও যোগ্যতাসমূহ সন্নিবেশিত হয়েছে। শিক্ষানীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, শিক্ষানীতির মূল উদ্দেশ্য মানবতার বিকাশ এবং জনমুখী উন্নয়ন ও প্রগতিতে নেতৃত্বদানের উপযোগী মননশীল, যুক্তিবাদী, নীতিবান, নিজের এবং অন্যান্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কুসংস্কারমুক্ত, পরমতসহিষ্ণু, অসাম্প্রদায়িক, দেশপ্রেমিক এবং কর্মকুশল নাগরিক গড়ে তোলা। পাশাপাশি শিক্ষার মাধ্যমেই জাতিকে দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার বৈশিষ্ট্য ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এই শিক্ষানীতি সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশে গণমুখী, সুলভ, সুষম, সর্বজনীন, সুপরিকল্পিত, বিজ্ঞানমনস্ক এবং মানসম্পন্ন শিক্ষাদানে সক্ষম শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার ভিত্তি ও রণকৌশল হিসেবে কাজ করবে। 

নতুন কারিকুলামের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, কতগুলো মহৎ ও ব্যাপক লক্ষ্যকে সামনে রেখে, অনেক আলোচনা-পর্যালোচনার ভিত্তিতে, বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিগণের পরামর্শে প্রণীত হয়েছে এই শিক্ষানীতি এবং এটি একটি বাস্তবসম্মত ও যুগোপযোগী শিক্ষানীতি। এর সুফল একদিনেই আসবে না, বরং সার্বিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে এটি সমাজে অত্যন্ত ইতিবাচক একটি প্রভাব ফেলবে, যা খানিকটা সময়সাপেক্ষ এবং সকলের অংশগ্রহণের ওপরও নির্ভরশীল। এই শিক্ষাব্যবস্থার সুফল পেতে হলে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এটিকে অনুধাবনপূর্বক একে বাস্তবায়নে সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি। পাশাপাশি শিক্ষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে খোদ শিক্ষকদের মধ্যে বিদ্যমান অস্পষ্টতা দূর করা প্রয়োজন এবং শিক্ষকদের মধ্যে যারা প্রাচীনপন্থী, মান্ধাতার আমলের ধ্যানধারণাকে লালন করেন, তাদের চিহ্নিত করে তাদের ভেতরকার অন্ধত্ব দূরীকরণে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন, যা সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। সুতরাং একদিনেই এই নয়া কারিকুলামের সুফল দৃষ্টিগ্রাহ্য করা সম্ভব নয়। 

অভিভাবকদের মধ্যে যারা ‘আলু ভর্তা’র শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং শিশুদের ডিভাইসনির্ভরতা নিয়ে অভিযোগ করছেন, তাদের এই উদ্বিগ্নতা এবং অভিযোগগুলোও আমলে নেওয়ার যোগ্য নয়, কারণ নতুন কারিকুলামে ‘আলু ভর্তা’কে একটি বিষয়ের একটি অধ্যায়ের একদিনের ঐচ্ছিক কার্যক্রম হিসেবে যেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তেমনি জীবনের আরও আরও অবশ্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোকেও প্রত্যেকটি বিষয়ের অবশ্যপাঠ্য বিষয় হিসেবে ততোধিক গুরুত্বের সাথে উপস্থাপন করা হয়েছে। আর প্রযুক্তিনির্ভর এই বিশ্বব্যবস্থায় শিশুরা প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হবে, প্রযুক্তির ব্যবহার করবে, সেটি অস্বাভাবিক নয়, শুধু লক্ষ্য রাখতে হবে, তাদের প্রযুক্তির ব্যবহার যেন ইতিবাচক হয়। তাছাড়া নয়া কারিকুলামে কোথাও শিশুদের হাতে সেলফোন তুলে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়নি, কাজেই এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ারও বোধ করি বিশেষ কিছু নেই।

পৃথিবী বদলে যাচ্ছে, বদলে যাচ্ছে সময়। এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েই পথ চলতে হবে আমাদের আগামী প্রজন্মকে। সুতরাং তারা যেন আগামীর পথে চলতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে না যায়, সে দিকে নজর দেওয়া আমাদের কর্তব্য। আর নয়া কারিকুলাম মূলত সেই পতন থেকে বাঁচানোর প্রচেষ্টারই ইতিবাচক ফলশ্রুতি। কাজেই অযথা সমালোচনা না করে এটিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করে এর ভেতরকার দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে একটি গ্রহণযোগ্য রূপরেখা প্রদানের চেষ্টা করাই সময়ের দাবি।

লেখক : শিক্ষক ও  কথাসাহিত্যিক
 

Link copied!