যে পণ্য কৃষক উৎপাদন করেন, সেই পণ্য ভোক্তা পর্যায়ে আসতে তিন-চারটা হাত বদল হয়। এই হাতবদলের ক্ষেত্রে এখানে অনেক অনিয়ম আছে বলে মন্তব্য করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ.এইচ.এম সফিকুজ্জামান।
শনিবার (২৭ মে) বেলা ১২টায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে আয়োজিত এক বিতর্ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এসময় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার অধিদপ্তরের জনবলের অপর্যাপ্ততা উল্লেখ করে এ.এইচ.এম সফিকুজ্জামান বলেন, “আমাদের জানিয়ে রাখি, আমাদের বিভাগীয় অফিস আছে এবং ৬৪টা জেলা অফিস আছে। পুরো বাংলাদেশে আমরা ২১৬ জন ভোক্তার অধিকার নিশ্চিতে কাজ করছি। এর মধ্যে মাত্র ৮৮ জন অফিসার অভিযানের কাজগুলো করেন।”
জনবল সংকট প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমাদের প্রায় সাড়ে চারশো নতুন জনবল আসবে। নিজেদের কোনো ইনফরমার নেই, সেকেন্ডারি তথ্যের ওপর নির্ভর করে অভিযান করছি।”
বিতার্কিকিদের এক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভোক্তা-অধিকারের মহাপরিচালক বলেন, “আমাদের অভিযানের বেশি ভাগ ঢাকার বাইরে হয়। কিন্তু ঢাকার বিষয়গুলো যেহেতু প্রচার বেশি হয় তাই এসব অভিযান সম্পর্কে মানুষ বেশি জানে। কিন্তু ঢাকার বাইরে বেশি অভিযান পরিচালিত হলেও সেগুলো মানুষের চোখে বেশি আসে না।”
আসন্ন পশুর হাটে অভিযান পরিচালনা করার কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে সফিকুজ্জামান বলেন, “পশুর হাটে আমাদের ব্যাপক কার্যক্রম থাকবে। আমরা দেখবো সুস্থ গরু এসেছে কিনা, কিংবা ওষুধ দিয়ে গরু মোটা-তাজা করা হয়েছে কিনা?
হাসান আহিমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্ত্বে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে “ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার সুফল পাওয়া যাচ্ছে” শীর্ষক প্রতিযোগতায় পক্ষে ঢাকা ইন্টারন্যনশনাল ইউনিভার্সিটি ও বিপক্ষ দল ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করেন। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় পক্ষ দল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি জয়ী হয়।