রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির তালিকা থেকে বাদ পড়া ১৯ যমজ শিশুকে ভর্তি করে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ-সংক্রান্ত একটি রিট মামলার শুনানি করে এই আদেশ দেন।
চলতি শিক্ষাবর্ষে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার জন্য যারা আবেদন করেছিল, তাদের মধ্যে ১৯ জোড়া যমজ শিশু ছিল। লটারি শেষে স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক জোড়া থেকে একজন করে ভর্তির সুযোগ দিলেও অন্যজন বাদ পড়ে। এ নিয়ে অভিভাবকরা ১৯ শিশুর ভর্তির বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ ভর্তি নেবে না জানিয়ে দিলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে সাত দিনের মধ্যে ভর্তির নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করা হয়।
এ সময়ের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাড়া না পেয়ে গত রোববার হাইকোর্টে রিট করেন অভিভাবকরা। সেখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না’ তা জানতে রুল চাওয়া হয়।
অভিভাবকদের আইনজীবী তাসমিয়া প্রধান বলেন, “যমজ শিশুদের সুস্থ মানসিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য একসঙ্গে থাকা খুবই জরুরি। কারণ, তাদের চাওয়াপাওয়া প্রায় একই রকম।”
তাসমিয়া প্রধান জানান, যমজ শিশুর ভর্তির বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং হাইকোর্টের নির্দেশনা আছে। এর আগেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ভিকারুননিসায় যমজ শিশুদের ভর্তি করানো হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার জানান, ভর্তির নির্দেশনার পাশাপাশি আদালত রুলও জারি করেছেন।
বিপুল বাগমার জানান, রুলে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম শ্রেণিতে ১৯ যমজ শিশুর ভর্তি না নেওয়ার সিদ্ধান্ত এবং এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘নিষ্ক্রিয়তা’ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না—তা জানতে চাওয়া হয়েছে। শিক্ষা সচিব, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।