স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন কেউ অস্বীকার করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, “দেশের স্বাস্থ্যখাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এ খাতে দেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। স্বাস্থ্যের শিক্ষা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নও হচ্ছে। টিকায় আমরা উন্নয়ন করেছি। প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন ‘হিরো’ হয়েছেন। আমরা শিশুমৃত্যু হার কমিয়েছি।”
মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিএসএমএমইউর ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিস-অর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা) আয়োজিত ‘সার্টিফিকেট কোর্স অন নিউরোডেভেলপমেন্ট ডিস-অর্ডার’ শীর্ষক কোর্সের উদ্বোধনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শিগগিরই ৫-১২ বছরের শিশুদের টিকা দেওয়া হবে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, “কিছুদিন আগেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) অনুমোদন ছিল না। এখন অনুমোদন পেয়েছি, শিশুদের জন্য উপযোগী টিকাও আমাদের হাতে এসেছে।”
জাহিদ মালেক বলেন, “সরকারি পরিসংখ্যান বলছে দেশে ৫-১২ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা দুই কোটি ২০ লাখ। তাদের জন্ম সনদ দিয়ে সুরক্ষা অ্যাপে টিকার নিবন্ধন করতে হবে। যারা এখনো নিবন্ধন করেনি তাদের অভিভাবকদের অনুরোধ করব দ্রুত নিবন্ধন করুন।”
তিনি আরও বলেন, “দেশে স্বাস্থ্যখাতে ভালো কাজ করায় কালাজ্বর, কলেরা, ডায়রিয়া, সব কিছুই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। একসময় গ্রামের পর গ্রাম মানুষ মারা যেত। আমরা অনেক কাজ করেছি। বর্তমানে মানুষের গড় আয়ু ৭৩ বছর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গবেষণায় গুরুত্বারোপ করেছেন। গবেষণার মাধ্যমেই দেশ এগিয়ে যাবে। দেশে আগে বাইপাস সার্জারি হতো না, এখন অহরহ হচ্ছে। ট্রান্সপ্লান্ট হতো না, এখন হচ্ছে।”