ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমানকে পদাবনতিসংক্রান্ত সাজার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে সামিয়া রহমান-সংক্রান্ত সব নথিও তলব করেছেন আদালত। আগামী ২১ দিনের মধ্যে এসব নথি হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে এ আদেশ দেন।
এ সময় আদালতে সামিয়া রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম।
ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম বলেন, ‘‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট যে সাজা দিয়েছিল সেই সিদ্ধান্তকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত। পাশাপাশি তদন্ত রিপোর্ট সব নথি তলব করেছেন আদালত।’’
এর আগে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির প্রমাণ মেলায় সামিয়া রহমানকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে এক ধাপ নামিয়ে সহকারী অধ্যাপক পদাবনতি করা হয়। একই সঙ্গে তার গবেষণা সহযোগী অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানকেও দুই বছর একই পদে থাকতে হবে বলে সিদ্ধান্ত দেয় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।
পরে এ সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ৩১ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করেন সামিয়া রহমান।