সারা দেশের সব লঞ্চ, জাহাজসহ নৌযানের ইঞ্জিনের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
একইসঙ্গে রিটে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় হতাহতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৌমিত্র সরদার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন।
স্বরাষ্ট্র সচিব, নৌ পরিবহন সচিব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিআইডব্লিওটিএ’র চেয়ারম্যান এবং লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
এছাড়া রিট আবেদনে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং সব নৌযানে ইঞ্জিনের বিষয়ে প্রতিবেদন ও বৈধ লাইসেন্স/পারমিটের প্রতিবেদন কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর দিনগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটিতে পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকার সুগন্ধা নদীতে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। এতে এখন পর্যন্ত ৪১ জন মারা গেছেন। আর নিখোঁজ রয়েছেন শতাধিক।
এছাড়া আগুনে দগ্ধ ৮১ জনের মধ্যে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪৬ জন। ১৯ জনকে পাঠানো হয়েছে ঢাকায়। আর ১৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। পুড়ে যাওয়া লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিলেন, তার সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে বিআইডব্লিউটিএ থেকে জানানো হয়েছে, লঞ্চটিতে প্রায় ৪০০ যাত্রী ছিলেন। এ ঘটনায় ঝালকাঠি সদর থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন গ্রামপুলিশের এক সদস্য।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, “পোনাবালিয়ার গ্রামপুলিশ জাহাঙ্গীর হোসেন অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।”