নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সংরক্ষিত মহিলা আসন বিলুপ্তিসহ ৪০টি লিখিত প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে দলটির প্রস্তাবনাগুলো পেশ করেন দলটির মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী।
রোববার (২৪ জুলাই) দলটির আমির মাওলানা হাফেজ আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজীর নেতৃত্বে ১২ সদস্য ইসির সংলাপে অংশ নেন। সিইসি ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংলাপে উপস্থিত ছিলেন।
ইসির পক্ষ থেকে খেলাফত আন্দোলনকে বলা হয়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানের জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি আন্তরিকতার সঙ্গে বাস্তবতার নিরিখে পেশ করতে চাই। কারণ, আমাদের বিশ্বাস যে নির্বাচন পদ্ধতি যত উন্নত ও নিখুঁত হবে, নির্বাচনের সুষ্ঠুতা ও নিরপেক্ষতা তত প্রশ্নহীন হবে। ফলে আস্থা ও বিশ্বাস সুদৃঢ় হবে এবং দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সৃষ্টি হবে। বিগত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচন বিতর্কিত ও অগ্রহণযোগ্য হওয়ায় দেশে রাজনৈতিক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে।
ইসি আরও জানায়, সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
খেলাফত আন্দোলনের প্রস্তাবনাগুলো হলো-
নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালীকরণ—
১. নির্বাচন কমিশনকে দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। সব দল ও প্রার্থীর সমানাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সব ভোটার যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন— নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে তার ব্যবস্থা করতে হবে। ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।
২. নির্বাচন কমিশনকে সরকারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত থাকতে হবে। নির্বাচন কমিশনের কাজে সরকার কোনো প্রকারের হস্তক্ষেপ করতে পারবে না— এমন নিশ্চয়তা থাকতে হবে।
৩. নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা ও নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যাবতীয় কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো বিশেষত— মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনে যারা নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করবেন তাদের নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখতে হবে। প্রয়োজনে বদলি করার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকতে হবে।
৪. নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের সময় অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদান করে মোতায়েন করতে হবে।
৫. নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব জনবল বৃদ্ধি করে প্রত্যেকটি নির্বাচনী আসনে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের থেকে দক্ষ ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
৬. প্রধান নির্বাচন কমিশনারের যে আইনি ক্ষমতা রয়েছে, নতজানু না হয়ে তা কার্যকর ক্ষেত্রে পরিপূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করতে হবে।
সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ—
৭. আসন সীমানা নির্ধারণে জনসংখ্যা অনুপাতে ভৌগলিক দূরত্ব ও যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। যাতে প্রার্থী ও ভোটারদের ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার না হতে হয়।
সংরক্ষিত মহিলা আসন বিলুপ্ত করা—
৮. যেহেতু মহিলাদের সরাসরি সব আসনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ আছে, অতএব সিলেকশনের মাধ্যমে মহিলাদের জন্য সংসদে পৃথক আসন সংরক্ষণ করার যৌক্তিকতা নেই। আসন সংরক্ষণের এই ব্যবস্থাটি বৈষম্যমূলক বিধায় তা বিলুপ্ত করা হোক।
নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করা—
৯. ইভিএমের ব্যাপারে জনগণের স্বচ্ছ ধারণা নেই। ইতোমধ্যেই দেশ-বিদেশে এটি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। আর ইভিএম সম্পর্কে আমাদের দেশের মানুষ বিশেষত গ্রাম-বাংলার মানুষ অজ্ঞ। তাই এটি ব্যবহার করা হলে অনেকের ভোট দেওয়াও অসম্ভব হয়ে পড়বে এবং নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। অতএব জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না।
মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধান সহজ করা—
১০. নির্বিঘ্নে ও সহজে যাতে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনলাইনেও মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধান ও ব্যবস্থা রাখতে হবে।
১১. জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর জামানত ১০ হাজার টাকার মধ্যে রাখতে হবে। ভোটার তালিকা সম্বলিত সিডি প্রার্থীকে বিনামূল্যে প্রদান করতে হবে।
সংসদ ভেঙে নির্বাচন অনুষ্ঠান—
১২. চলমান সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে। কারণ সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তা প্রভাবমুক্ত হবে না। সে নির্বাচন দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্যতাও পাবে না।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত আসনে ফের নির্বাচনের বিধান করা—
১৩. বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থীর গেজেট প্রকাশ না করে ফের নির্বাচনের বিধান করতে হবে। তখন জীবননাশের হুমকি দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারে বাধ্য করার প্রবণতা বন্ধ হবে। ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথও বন্ধ হবে।
অপরাধীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা—
১৪. ঋণখেলাপিদের মতো ইসলামবিদ্বেষী, ধর্মদ্রোহী নাস্তিক, চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ, খুনি, সন্ত্রাসী, কালোটাকার মালিক, অবৈধ সম্পদকে বৈধকারী ও ঋণখেলাপির সঙ্গে জড়িত পরিবারকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।
১৫. দল থেকে বহিষ্কার হলে যেমনিভাবে সংসদীয় পদ বাতিল হয়ে যায়, তেমনিভাবে নির্বাচিত সদস্যদের নির্বাচনী অঙ্গীকার ভঙ্গ, দলীয় মেনিফেস্টোর লঙ্ঘন, স্বৈরাচার নীতি, খুনি-সন্ত্রাসী ও ধর্মবিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদী কর্মকাণ্ড প্রকাশ পেলে কমিশন কর্তৃক তার সদস্যপদ বাতিল করার বিধানও করতে হবে।
নিবন্ধন শর্ত শিথিল করা—
১৬. অবাধ ও মুক্ত রাজনীতি চর্চার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের শর্ত শিথিল করতে হবে।
১৭. রাজনৈতিক দলের সব কমিটিতে ৩৩ শতাংশ মহিলা সদস্য রাখার বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত ধারা বাতিল করতে হবে।
১৮. কোরআন-সুন্নাহর সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো শর্ত আরোপ করা যাবে না।
নির্বাচনী ব্যয় কমানো—
১৯. নির্বাচনে ব্যয়ের বৈধ সীমা ক্রমাগত বেড়ে চলায় সৎ, যোগ্য ও আদর্শবান সাধারণ নাগরিকরা সংসদ সদস্য হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ২৫ লাখ টাকা ব্যয় বৈধ হলেও তার সঙ্গে আরও ২০/৩০ কোটি টাকা অবৈধভাবে ব্যয় করে অনেক প্রার্থী বিজয়ী হয়। পরে দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা লুটে নেয়। অতএব দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে এবং যোগ্য ও আদর্শবান লোকদের নির্বাচিত করতে নির্বাচনী ব্যয় কমিয়ে আনতে হবে। কারণ কষ্ট করে বৈধপন্থায় উপার্জিত টাকা জনগণের সেবার উদ্দেশে নির্বাচনে ব্যয় করা অনেক কঠিন বিষয়।
২০. নির্বাচনী ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একই আসনে সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নাম ও প্রতীক সংবলিত একই পোস্টার ছাপানো এবং তা প্রার্থীদের কাছে সরবরাহ করার ব্যবস্থা করতে হবে।
২১. ব্যয়ের ক্ষেত্রে অনিয়ম প্রমাণিত হলে প্রার্থিতা বাতিল এমনকি নির্বাচিত হলেও তার সদস্যপদ বাতিলের আইন করতে হবে।
২২. না ভোটের বিধান পুনরায় চালু করতে হবে।
নির্বাচনের পরিবেশ রক্ষা করা—
২৩. নির্বাচনকে অর্থ ও পেশিশক্তির প্রভাব থেকে মুক্ত রাখতে হবে। সবার জন্য সমান সুযোগ তথা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
২৪. নির্বাচনে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহার ও ভাষণ বেতার/টেলিভিশনে প্রচারের সুযোগ দিতে হবে। এছাড়াও নিরপেক্ষ প্রচারে মিডিয়ার ওপর কোনোরূপ বাধা সৃষ্টি যাতে না করা হয় সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২৫. নির্বাচনে ভোট ক্রয়-বিক্রয় এবং কালোটাকা ও পেশিশক্তির ব্যবহার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় নির্বাচনী আইন ও বিধিবিধান প্রণয়ন করতে হবে।
২৬. প্রার্থী ও ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীকে সংশ্লিষ্ট করতে হবে।
২৭. সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও নির্বাচনের আগে লাইসেন্স করা সব অস্ত্র জমা নিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রস্তাবনা—
২৮. ভোট দানে পেশিশক্তির প্রয়োগ ও সরকারি সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগানো সম্পূর্ণরূপে বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
২৯. সবাই যাতে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলে সেজন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৩০. ভোটের আগের দিন থেকেই ভোটকেন্দ্র, ভোটের সরঞ্জাম ও ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি কেন্দ্রে সেনাবাহিনীসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
৩১. নির্বাচনী কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কোনো দলীয় লোকের মেহমানদারি গ্রহণের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে।
৩২. ভোটকেন্দ্র ও এর আশপাশে দলীয় ক্যাডারদের মহড়া/যৌথ মহড়া বন্ধ করার আইন করতে হবে।
৩৩. দেশি-বিদেশি নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কোনোরূপ বাধা সৃষ্টি করা যাবে না।
৩৪. ভোট প্রদানের গোপন স্থান ছাড়া প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের প্রবেশ পথের বাইরে ও ভেতরের সব স্থানকে সিসিটিভির আওতায় এনে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। ভোট গণনার পর সিসিটিভির সিডি রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দিতে হবে।
৩৫. ব্যালট পেপার ছিনতাই, ভোট জালিয়াতি, জাল ভোট প্রদানের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩৬. ভয়ভীতি প্রদান করে বা জোরপূর্বক প্রার্থীর এজেন্ট, ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ভোটারদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩৭. প্রবাসীদের জন্য ভোটাধিকার প্রয়োগের সুব্যবস্থা রাখতে হবে।
৩৮. ভোটগ্রহণ সমাপ্ত হলে উপস্থিত সব প্রার্থীর প্রতিনিধিদের সামনে ভোট গণনা করে প্রতি কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা নিশ্চিত করতে হবে। ঘোষিত ফলাফলের কপি উপস্থিত সব প্রার্থীর এজেন্টকে সরবরাহ করতে হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা—
৩৯. অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে এটা প্রতীয়মান হয় যে দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয় না। নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠন অপরিহার্য। এ উদ্দেশেই বৃহৎ দুটি দলসহ প্রায় সব রাজনৈতিক দল অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেছে, দেশের মানুষ ৯৬ দিনের হরতাল ও অসহযোগ আন্দোলন সহ্য করেছে। মানুষের জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির মাধ্যমে নির্বাচনকালীন ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা’ প্রবর্তিত হয়েছিল। ফলে জাতির মধ্যে প্রফুল্লতা এসেছিল। ভোটাররা আগ্রহের সঙ্গে ভোট প্রদান করেছিলেন। এ পদ্ধতি বাতিল হওয়ায় দেশে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। অস্থিরতা ও অবিশ্বাস বেড়েছে। এ বিষয়টিও বিবেচনায় রাখবেন।
৪০. দেশের জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার গঠন করে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। আমরা আশা করি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের ৪০ দফা প্রস্তাবনা একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সহায়ক হবে এবং বিতর্কিত নির্বাচনের অবসান ঘটবে।