• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লোডশেডিং কবে শেষ হবে জানালেন পরিকল্পনামন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২২, ০৩:৪২ পিএম
লোডশেডিং কবে শেষ হবে জানালেন পরিকল্পনামন্ত্রী

দেশে চলমান লোডশেডিং আগামী সেপ্টেম্বরেই শেষ হতে পারে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেছেন, “বিশ্বব্যাপী মন্দা কেটে যাচ্ছে। তাই আগামী সেপ্টেম্বরের শেষের দিক থেকে লোডশেডিং আস্তে আস্তে কমে যাবে।”

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা-পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

একনেক সভার বর্ণনা দিয়ে এম এ মান্নান বলেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে লোডশেডিং নিয়ে কথা বলেছি। তিনি এ বিষয়ে আমাদের সঠিকভাবে কাজ করতে বলেছেন। আমরাও চেষ্টা করছি এই সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায়। আশা করছি খুব শিগগির সমাধান হবে। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী হয়তো সেপ্টেম্বরে আস্তে আস্তে লোডশেডিং কমে যাবে।”

ডলার ও দেশের সার্বিক পরিস্থিতির বিষয় তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কা হয়ে যাচ্ছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেছিলেন। কোথায়, শ্রীলঙ্কা তো হয়নি। রিজার্ভ নামছিল এখন টেকসই অবস্থায়। রেমিট্যান্সে প্রবাহ বেড়েছে। ঈদের পরে বেশি রেমিট্যান্স পেয়েছি। ৩০ শতাংশ রেমিট্যান্স বেড়েছে। এক্সপোর্ট হাওয়া ভালো, এছাড়া রাজস্ব আদায়ও ভালো। আমরা খাদে পড়ব না, বরং খাদ থেকে উঠব। জ্বালানি ধীরে ধীরে বিশ্ব মার্কেটে নামছে। জ্বালানি সমন্বয় করব।”

একনেকের সভায় ছয়টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫০৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ হাজার ৬২৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ সহায়তা থেকে ৮৭৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

প্রকল্পগুলো হচ্ছে

সোনাপুর-কবিরহাট-কোম্পানীগঞ্জ (বসুরহাট-দাগনভুইয়া) আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫৭ কোটি টাকা। গল্পামারী-বটিয়াঘাটা-দাকোপ-নলিয়ান ফরেস্ট সড়কের ২৮তম কিলোমিটারে চুনকুড়ি নদীর ওপর চুনকুড়ি সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৪৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। আশুগঞ্জ অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার নদীবন্দর স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫৮ কোটি টাকা। কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু হকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৩৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা। বিসিক মুদ্রণ শিল্প নগরী প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। বরেন্দ্র এলাকায় খালে পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!