বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে সার্বিয়ার সহযোগিতা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সার্বিয়ার বেলগ্রেডে সেদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোলা সেলাকোভিচ, শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী ড. দারিজা কিসিক টেপাভসেভিচ এবং বাণিজ্য, পর্যটন ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী টাটজানা মেটিকের পৃথক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ১৩ অক্টোবর মোমেন সার্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে উল্লেখ করেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারের বৈদেশিক নীতির অংশ হিসেবেই বাংলাদেশ জোট নিরপেক্ষ নীতি অনুসরণ করছে। বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী ইউরোপের অন্যতম প্রথম দেশ হিসেবে সাবেক যুগোস্লাভিয়ার ভূমিকার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ড. মোমেন।
এ দু্’টি বন্ধু রাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর জোর দেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ বিষয়ে তিনি বাংলাদেশ ও সার্বিয়ার মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব করেন এবং সার্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানান। উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দু’দেশের কূটনৈতিক ও সরকারি পাসপোর্টধারীদের ভিসা ছাড়া যাতায়াত এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ে প্রক্রিয়াধীন সমঝোতা স্মারক দু’টি দ্রুতই স্বাক্ষরের ওপর জোর দেন। তারা দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের বিষয়েও আলোচনা করেন। আলোচনার একপর্যায়ে ড. মোমেন বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সেদেশে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সার্বিয়ার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
সার্বিয়ার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রীর সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠককালে বাংলাদেশের জনশক্তিকে সার্বিয়ার অবকাঠামো খাতে কাজে লাগানোর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।
মোমেন বলেন, “বাংলাদেশের অত্যন্ত পরিশ্রমী জনশক্তি মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবকাঠামো উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। এদেশের দক্ষ জনশক্তির অভিজ্ঞতা থেকে সার্বিয়া বিশেষ করে তাদের অবকাঠামো, স্বাস্থ্য ও পর্যটনখাত অনেক বেশি লাভবান হতে পারে। সার্বিয়ার শ্রমমন্ত্রী এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা চুক্তি সম্পাদনের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।”
এ সময় তাদের আলোচনায় আর্থ-সামাজিক বিষয় স্থান পায়। বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নে রাজনৈতিক নেতৃত্বের দৃঢ় ভূমিকার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন সার্বিয়ার শ্রমমন্ত্রী।