নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আগামীকাল বুধবার থেকে ১০ নামের প্রস্তাবের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে এ বৈঠক শুরু হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “সার্চ কমিটির কাছে প্রস্তাবিত ৩২২ জনের তালিকা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। যাদের নাম দুই বার এসেছে, তাদের নাম একবার করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করা হবে।”
এর আগে বৈঠকে অংশ নেন বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, চ্যানেল আইয়ের বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড সম্পাদক ইনাম আহমেদ ও বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম।
এ সময় বৈঠকে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সেনাবাহিনীসহ সব স্তরের কর্মকর্তাদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ এবং নির্দেশনা দিতে পারবেন এমন মানুষদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দেন তারা।
সব পেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে ভারসাম্যমূলক একটা নির্বাচন কমিশন গঠন করা উচিত বলে অভিমত ব্যক্ত করে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা সার্চ কমিটিকে বলেন, “এক্ষেত্রে বিশেষ পেশার প্রাধান্য যাতে না থাকে।”
এদিন সার্চ কমিটির সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সার্চ কমিটির সদস্য হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন এবং লেখক-অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক। সার্চ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তায় ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
এদিকে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ অনুসারে নির্বাচন কমিশন গঠনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
অন্যদিকে আইন অনুযায়ী কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ পেশ করতে হবে।