রাজধানীতে শব্দদূষণ, বায়ুদূষণ ও যানজট নিয়ে জাতীয় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, “প্রতিদিন মানুষকে যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এতে অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে, সেইসঙ্গে মানুষের কর্মক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ঢাকা শহর অকার্যকর শহরে পরিণত হবে।”
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
পীর ফজলুর রহমান বলেন, “গ্রামের মানুষ যিনি গ্রামে থাকেন, তার খুব একটা সমস্যা হয় না। ঢাকা এখন শব্দদূষণে এক নম্বরে, বায়ুদূষণেও এগিয়ে। ঢাকায় যারা বসবাস করেন, যানজটের কারণে তারা সকালে বের হলেও দুপুরে কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছাতে পারবেন কিনা, এর নিশ্চয়তা নেই। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যানজটের কারণে বছরে ৮৭ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে।”
জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, “উন্নয়ন কাজে কোনো সমন্বয় নেই। এক সংস্থা রাস্তা তৈরি করে আবার কিছুদিনের মধ্যে অন্য সংস্থা রাস্তা কাটে। কোন বাস কোথায় থামবে, তার কোনো ঠিক নেই। রাস্তা বন্ধ করে রেখে তারা যাত্রী তোলে।”
এ সময় তিনি যানজট নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়া এবং প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের দাবি জানান।
এছাড়া পয়েন্ট অব অর্ডারে দেওয়া বক্তব্যে সংরক্ষিত আসনের সাংসদ লুৎফুন নেসা খান বলেন, “নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা খুবই জরুরি। পাশাপাশি জেলা পর্যায়ে প্রয়োজনীয় লোকবল ও যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি।
এছাড়াও আসন্ন পবিত্র রমজানে যাতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করা না হয় এবং খাদ্যে রাসায়নিক ব্যবহার করা না হয় সেদিকে নজর দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এদিকে জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, “ওয়ারি স্কুলটি বন্ধ হয়ে গেছে। এটি নির্মাণাধীন ছিল। বঙ্গভবনের কাছে এই অজুহাতে বলা হচ্ছে, বঙ্গভবনের অনুমোদন ছাড়া নকশা পাস করা যাবে না। অথচ এর অবস্থান বঙ্গভবন থেকে এক হাজার গজ দূরে। আশপাশের সব ভবন ১২ তলা।”
কাজী ফিরোজ রশীদ আরও বলেন, “কাউকে খুশি করা বা রাজউক থেকে প্ল্যান পাস করানোর মতো টাকা স্কুলের নেই। রাজউকের কাছে গেলে এত ঘাট দেখায়, এগুলো পেরিয়ে প্ল্যান আনা সম্ভব নয়।”
এখন আল্লাহর কাছে ফাইল পাঠাতে হবে, কিন্তু এটা তো সম্ভব না বলেও মন্তব্য করেন কাজী ফিরোজ রশীদ।