• ঢাকা
  • রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২, ২১ শাওয়াল ১৪৪৬

বস্তিতে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নেই


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০২২, ০৯:০১ পিএম
বস্তিতে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নেই

রাজধানীর বস্তিগুলোতে সিটি করপোরেশনের কোনো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নেই। বর্জ্য পানিতে যাচ্ছে, বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এবং ক্ষতিকারক গ্যাস তৈরি হচ্ছে। এসব কারণে রাজধানীতে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে এবং তৈরি হচ্ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। এর জন্য সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বুধবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আঞ্চলিক কার্যালয়-৩ এ কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা সভায় আলোচকেরা এসব কথা তুলে ধরেন। দূষণমুক্ত ঢাকা নগরীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে ইউএসএইডয়ের আর্থিক সহযোগিতায় এবং কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের কারিগরি সহযোগিতায় ডিএসকে কনর্সোটিয়াম কর্তৃক বাস্তবায়িত ঢাকা কলিং প্রকল্পের উদ্যোগে সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ এর সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আজিজুন নেছা বলেন, ‘বস্তিতে বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা করতে হবে। না হলে বর্জ্যের কারণে পানি ও বায়ু দূষণ হবে।”

ময়লার কারণে বাতাসে দুর্গন্ধ এবং ক্ষতিকারক গ্যাস উৎপন্ন হয়ে নগরবাসী স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

আজিজুন নেছা আরও বলেন, “বর্জ্যের অব্যবস্থাপনার কারণে কড়াইলসহ রাজধানীর বিভিন্ন বস্তি এলাকায় স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। ওই এলাকার লোকজন ডায়রিয়া, কলেরাসহ নানা রকম পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। পরে এই রোগ গুলশান, বনানী, বারিধারাসহ শহরে ছড়িয়ে পড়ছে।”

বস্তির মানুষ নিজস্ব উদ্যোগে কিছু বর্জ্য সিটি করপোরেশনের বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রে (এসটিএস) পৌঁছে দিলেও, বেশিরভাগই থেকে যায় বস্তিতে। এতে বস্তির মানুষের মধ্যে রোগ জীবাণু ছড়ায়। পরে পানি ও বায়ুবাহিত নানান রোগ ছড়িয়ে পড়ে শহর জুড়ে।

কড়াইল বস্তি উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, “আমরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ময়লা সংগ্রহ করি। ভ্যান সংকটে সব ময়লা সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। অনেক সময় ময়লা সংগ্রহ করার পর এসটিএসে দিলে, তারা নিতে চায় না। এতে বস্তির পরিবেশ খারাপ হয়ে যায়। দুর্গন্ধ ও রোগ-শোক ছড়ায়।”

বস্তির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সিটি করপোরেশনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন কাপের নির্বাহী পরিচালক খোন্দকার রেবেকা সান ইয়াত।

তিনি বলেন, “বর্জ্য অব্যবস্থাপনার কারণে ঢাকাতে সবচেয়ে বেশি দূষণ হয়। বস্তিগুলোতে এ সংকট আরও বেশি। বস্তি এলাকাও এই শহরের অংশ।”

বস্তি ভালো থাকলে পুরো শহর ভালো থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এগিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “এর জন্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে এগিয়ে আসতে হবে।”

ডিএনসিসির সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর আমেনা বেগমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) আবদুল্লাহ আল বাকী। সভায় সঞ্চালনা করেন কাপের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাহবুল হক।

Link copied!