বরগুনায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের গণহারে পিটুনির ঘটনায় পুলিশের বাড়াবাড়ি ছিল বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, “ঘটনাটি যেটা দেখেছি, এটা একটু বাড়াবাড়ি হয়েছে। এটি এভাবে না ঘটলেও পারত।”
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বরগুনার ঘটনায় পুলিশ বাড়াবাড়ি করেছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এটা কেন হলো আইজিকে বলা হয়েছে, ব্যবস্থা নিতে। তদন্ত হয়ে আসুক। আমার কাছে মনে হয়েছে এতটা বাড়াবাড়ি ঠিক হয়নি।”
এর আগে, সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সে ফুল দিতে যান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা ও সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান ইমরান। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ফেরার সময় শিল্পকলা একাডেমির সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত গ্রুপের সদস্যরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
পরে পুলিশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বেধড়ক লাঠিপেটা করে। এতে আহত হন অন্তত ৬০ জন। এর ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সঙ্গে এক পুলিশ কর্মকর্তার তর্কাতর্কির ভিডিওটিও ব্যাপক আলোচনা তৈরি করেছে।
এই ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে এর বিচার চাইছেন। যদিও এর মধ্যেই বরগুনা ছাত্রলীগের সভাপতি বিবৃতি দিয়ে পুলিশের পক্ষ নিয়েছেন। তবে জেলা আওয়ামী লীগ এর নিন্দা জানিয়েছে।
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশের লাঠিপেটার এ ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে উপস্থিত পুলিশের ভূমিকার বিষয়টি তদন্তে জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ তিন কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।