বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অশনি’। এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা। প্রাথমিকভাবে ঝড়ের গতিপথ উত্তর পশ্চিমে অর্থাৎ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা বা পশ্চিমবঙ্গের বঙ্গোপসাগর উপকূলের দিকে রয়েছে।
শুক্রবার (৬ মে) বাংলাদেশ-ভারতের আবহাওয়া অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, “শুক্রবার সকালে আন্দামান সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি পরিবর্তন হয়ে পরিণত হবে গভীর লঘুচাপে। পরে নিম্নচাপ ও গভীর নিম্নচাপের পর এটি ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ রূপ নেবে। এখন পর্যন্ত লঘুচাপটি বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার দিকে মুখ করে আছে। তবে লঘুচাপটির গতিপথ বারবার বদলাচ্ছে। এ জন্য বলা মুশকিল, এটি তৈরি হলেও আসলে কোনদিকে যাবে। তবে প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী এটি বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায় আঘাত হানতে পারে।”
বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস জানায়, ধারণা করা হচ্ছে, লঘুচাপটি আগামী ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশের পশ্চিম অথবা পূর্বাঞ্চলের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে, উত্তরাঞ্চলের রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হবে।
অপরদিকে, ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ আন্দামান এবং দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরের যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল, সেটি শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ওই নিম্নচাপই আরও জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে শক্তি বাড়িয়ে আগামী ৮ মে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে আমেরিকার নৌবাহিনী পরিচালিত জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার থেকে প্রাপ্ত তথ্যেও।
এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গে কতটা প্রভাব ফেলবে বা আদৌ প্রভাব ফেলবে কি না, তা স্পষ্ট জানায়নি আবহাওয়া অফিস। যদিও আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আগামী মঙ্গল, বুধ এবং বৃহস্পতিবার ওড়িশা উপকূল এবং দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
