ফোনালাপে আড়িপাতা রোধে ও ফাঁস হওয়া ঘটনাগুলোর তদন্ত করার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনের উপর রিট শুনানি ২ সপ্তাহ পর হবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৬ আগস্ট) সকালে রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো.মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
পরে আড়িপাতার রিট শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে অ্যাডভোকেট মো. শিশির মনির থাকবেন বলে রাষ্ট্রপক্ষ সময় আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভগের সচিব এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করে গত ১০ আগস্ট মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন।
১০ আইনজীবীর মধ্যে রয়েছেন অ্যাডভোকেট রেজওয়ানা ফেরদৌস, উত্তম কুমার বনিক, শাহনা বিলাকাশফী, ফরহাদ আহমেদ সিদ্দীকী, মোহাম্মদ নওয়াব আলী, মো. ইবরাহিম খলিল, মুস্তাফিজুর রহমান, জিএম মুজাহিদুর রহমান (মুন্না), ইমরুল কায়েস ও একরামুল কবির।
নোটিশে বলা হয়, সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদে চিঠিপত্র ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা সংরক্ষণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এছাড়াও ২০১১ সালের ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ টেলিকিমিউনিকেশন রেগুলেটরি অ্যাক্ট ২০০১ প্রণয়ন করা হয়। আইনের ৩০(চ) ধারা অনুযায়ী টেলিযোগাযোগের একান্ততা রক্ষা নিশ্চিত করা এই কমিশনের দায়িত্ব।