আবারও কঠোর বিধিনিষেধ আসতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
একই সঙ্গে আশা প্রকাশ করে বলেছেন, “ওমিক্রনের হানা থেকে অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থা ভালো।”
শনিবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে মানিকগঞ্জ নার্সিং ইনস্টিটিউটে বুস্টার ডোজ টিকা প্রদান অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীর এক প্রশ্নের উত্তরে জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।
সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ঠেকাতে দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “ইতোমধ্যে প্রতিষেধক হিসেবে করোনার মুখে খাওয়ার ট্যাবলেট দেশের বাজারে এসেছে। তবে এই ট্যাবলেট টিকার বিকল্প নয়। করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে আবারও কঠোর বিধিনিষেধ আসতে পারে।”
ওমিক্রনে যুক্তরাজ্যে এক লাখ ও যুক্তরাষ্ট্রে ৪ লাখ পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছে, আমাদের দেশে এই অবস্থা আমরা চাই না বলে উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেছেন, “আমাদের দেশকে সুরক্ষিত রাখতে চাইলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রাথমিকভাবে মাস্ক আমাদের সংক্রমণ ঝুঁকি কমাবে। সংক্রমণের হার যেভাবে বাড়ছে, স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে আমরা কঠোরতা অবলম্বন করব।”
টিকার বিষয়ে জাহিদ মালেক বলেন, দেশে পর্যপ্ত টিকা রয়েছে। ইতোমধ্যে টিকা দেওয়ার সব ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন করা হয়েছে।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “টিকা দেওয়ার জন্য নতুন আরও ৬ কোটি সিরিঞ্জ চীন থেকে আমদানি করা হয়েছে। করোনার মুখে খাওয়ার প্রতিষেধক রেটিনোভি ও নির্মাট্রেলভি বাজারজাতকরণের জন্য ৬টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে বেক্সিমকো বাজারজাত করছে।”