• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
ঈদযাত্রা

ফাঁকা হচ্ছে রাজধানী, গন্তব্যে ছুটছে মানুষ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২২, ১০:১৩ এএম
ফাঁকা হচ্ছে রাজধানী, গন্তব্যে ছুটছে মানুষ

শুরু হয়ে গেছে ঈদযাত্রা। ট্রেনে, বাসে ও লঞ্চে করে রাজধানী ছাড়ছে ঘরমুখী মানুষ। ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল)। অগ্রিম টিকিট কেটে অনেকেই আজ গন্তব্যে রওনা করছেন। স্বস্তির ঈদযাত্রা করতে পরিবার নিয়ে ছুটছেন নাড়ির টানে।

সকাল থেকেই নাড়ির টানে ছুটে চলা মানুষের ভিড় দেখা যায় রাজধানীর রেলস্টেশন এবং বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে। দুপুরের পর ঘরমুখী মানুষের  ভিড় আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন কাউন্টার এবং সংশ্লিষ্টরা।

বুধবার (২৭ এপ্রিল) থেকে ট্রেনে করে ঈদযাত্রা শুরু হয়। এই সময় শিডিউল বিপর্যয়ে বিপাকেও পড়েছেন অনেকে। সড়কপথের যাত্রা শুরু হচ্ছে আজ থেকেই। অফিস করেই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা করবেন অনেকে। রাতের ট্রেনে বা বাসে রওনা করে বাড়ি পৌঁছাবেন সকালেই। 

তবে সড়ক পথে যাত্রা করা যাত্রীদের শঙ্কা যানজটের। দীর্ঘ যানজটের কথা মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় খাবার, পানি নিয়েছেন তারা। তবে যানজটের সীমা পার হলে সে ক্ষেত্রে ভোগান্তির কথা চিন্তা করছেন তারা।

মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে কথা বলেন আমিন রহমান। তিনি বলেন, “টিকিট কাটছি আগেই। যেন যানজট কম হয়। রোজার মধ্যে যানজট সহ্য করা  অনেক কষ্ট। শুকনো খাবার আর পানি নিছি। পথে ইফতার করতে হলে তখন কাজে লাগবে। তাছাড়া রাস্তার খাবার খেতে ভরসাও পাই না। যানজট না থাকলে আরামেই পৌঁছাব।”

গাবতলীর বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা যায় গন্তব্যে যাত্রা করতে প্রস্তুত যাত্রীরা। যাত্রী রাকায়েত আলী বলেন, “সকালের বাসে উঠছি, যেন তাড়াতাড়ি পৌঁছাতে পারি। বউ, বাচ্চারা আছে। গরমে তাদের দিকেও খেয়াল রাখতে হয়। রাস্তা কাটা না থাকলে যানজট হবে না আশা করি। বাকিটা দেখা যাক।”

এদিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে কথা হয় হোসেন মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, “ অনেক কষ্টে ট্রেনের টিকিট কিনছি। তবে দ্রুত বাড়ি যেতে পারব। তাই ওই কষ্টও শান্তি লাগে। বাসে অনেক যানজট হয়। তাই কষ্ট হলেও সব সময় ট্রেনের টিকিট কাটি।”

ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সড়ক পথে চলাচলে যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে সরকারও পদক্ষেপ নিয়েছে। বিভিন্ন অংশের ফ্লাইওভার খুলে দেওয়াসহ সড়কে একলেন চালু করা হয়েছে ঈদ উপলক্ষে। সব মিলিয়ে সড়কের ভোগান্তি কিছুটা কমবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। তবে ফেরি স্বল্পতার কারণে পারাপারে যাত্রীরা কিছুটা ভোগান্তিতে পরবেন বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।

Link copied!