ডিভোর্স না হওয়া সত্ত্বেও অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসাইন, তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মি ও শাশুড়ি সুমি আক্তারের জামিনের মেয়াদ বেড়েছে।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত জামিন বহাল রাখেন।
এর আগে ৩১ অক্টোবর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে ১০ হাজার টাকার মুচলেকায় জামিন পান আসামিরা।
এদিন মামলাটিতে অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। আসামিপক্ষে আইনজীবী আসামিদের জামিন বর্ধিত করার আবেদনসহ চার্জ শুনানির জন্য সময় আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
একই সঙ্গে চার্জ গঠনের জন্য নতুন বছরের ২৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ তিনজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন একই আদালত। ওই দিন মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল।
এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) মিজানুর রহমান তিনজনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন জমা দেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তামিমার আগের স্বামী রাকিব হাসানকে ডিভোর্স দেওয়াসংক্রান্ত কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। নাসিরকে বিয়ের আগে রাকিবকে ডিভোর্স দেননি তামিমা। স্বামী থাকা অবস্থায় অবৈধ বৈবাহিক সম্পর্ক দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে তারা ৪৬৮/৪৭১/৪৯৪/৪৯৭/৫০০/৩৪ ধারায় অপরাধ করেছেন মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের পর বাদীপক্ষের আইনজীবী ইসরাত হাসান আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। তবে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা না দিয়ে তাদের আদালতে হাজির হতে সমন দেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মির স্বামী দাবি করে রাকিব হাসান বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় আগের বিয়ে গোপন থাকা অবস্থায় অন্যত্র বিয়ে, অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়ায় মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের ৮ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তাম্মি পেশায় একজন কেবিন ক্রু। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্রপত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে জানেন।
এতে আরও বলা হয়, তাম্মি ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার শিশুকন্যা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আসামিদের এমন কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে।