দেশে গত অর্থবছরে খাদ্যশস্যের কোনো ঘাটতি ছিল না। চলতি অর্থবছরেও ঘাটতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই বলে সংসদে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয় ৪০৭ দশমিক শূন্য ৭ লাখ টন (৩৯৪ দশমিক ৮১ লাখ টন চাল ও ১২ দশমিক ২৬ লাখ টন গম) খাদ্যশস্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো পরিচালিত হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে (এইচ আই ই এস-২০১৬) অনুসারে মানুষের দৈনিক গড় খাদ্যশস্য গ্রহণের পরিমাণ ৩৮৭ গ্রাম (চাল ৩৬৭ দশমিক ২ গ্রাম এবং গম ১০ দশমিক ৮ গ্রাম)। সেই হিসাবে ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৩ লাখ হলে (প্রাক্কলিত) মোট খাদ্যশস্যের প্রয়োজন ছিল ২৩৯ দশমিক ১৪ লাখ টন (চাল ২২৬ দশমিক ৯০ লাখ টন এবং গম ১২ দশমিক ২৪ লাখ টন), যা ২০২০-২১ অর্থবছরে খাদ্যশস্যের মোট উৎপদানের তুলনায় কম। আবার দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এক দশমিক ৩৭ শতাংশ বিবেচনায় ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি দেশের মোট জনসংখ্যা দাঁড়াবে ১৭ কোটি ১৫ লাখ মিলিয়ন (প্রাক্কলিত)। সেই হিসাবে দেশে খাদ্যশস্যের মোট চাহিদা হবে ২৪২ দশমিক ৩০ লাখ টন। সেটাও ২০২১-২২ অর্থবছরের খাদ্যশস্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম। সুতরাং দেশে খাদ্য ঘাটতির কোনো আশঙ্কা নেই।”
সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য মমতা হেনার প্রশ্নের জবাবে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, “আগামী ১ এপ্রিল থেকে অভ্যন্তরীণ গম সংগ্রহ এবং ২৮ এপ্রিল থেকে বোরো সংগ্রহের মৌসুম শুরু হবে।”
এছাড়া বিএনপির মোশারফ হোসেনের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “আসন্ন অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ-২০২২ মৌসুমে সাড়ে ৬ লাখ টন ধান, ১১ লাখ টন সিদ্ধ চাল এবং ৫০ হাজার টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।”