জ্বালানি তেলের মূল্য কমানোর দাবি আদায় না হলে, চলমান ধর্মঘট আগামী রোববার পর্যন্ত অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহন মালিক সমিতি।
এদিকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে সারা দেশে বাস-ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পরিবহন মালিকরা। ফলে রাজধানীসহ সারা দেশেই সাধারণ মানুষকে পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে।
এর আগে বুধবার (৩ নভেম্বর) রাতে জ্বালানি তেলের দাম ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তবে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়তে থাকায় ‘লোকসান কমাতে’ দেশের বাজারেও এই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য ক্রমবর্ধমান। বিশ্ববাজারে ঊর্ধ্বগতির কারণে পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ জ্বালানি তেলের মূল্য নিয়মিত সমন্বয় করছে। গত ১ নভেম্বর ভারতে ডিজেলের বাজার মূল্য প্রতি লিটার ১২৪.৪১ টাকা বা ১০১.৫৬ রুপি ছিল। অথচ বাংলাদেশে ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটার ৬৫ টাকা অর্থাৎ লিটার প্রতি ৫৯.৪১ টাকা কম।
অন্যদিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম না কমালে সারা দেশে পণ্য পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ড ভ্যান ট্যাংক লরি প্রাইম মুভার মালিক শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ।