• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তেলের পর বাড়ছে পেঁয়াজের ঝাঁজ


জাহিদ রাকিব
প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২২, ০৩:২৮ পিএম
তেলের পর বাড়ছে পেঁয়াজের ঝাঁজ

টানা কয়েক দিন স্থিতিশীল থাকার পর হঠাৎ করে আবার দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। কয়েক দিনের ব্যবধানে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পণ্যটির দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়ার মেয়াদ শেষ হওয়ায় প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পণ্যটি আসা বন্ধ রয়েছে। এ কারণে দেশের খুচরা ও পাইকারি উভয় বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।

সরজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও পাড়া-মহল্লার দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৩০ থেকে বেড়ে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় উঠেছে।

বাজারের সঙ্গে সংসারের ব্যয়ের হিসাব মেলানোর বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক রঞ্জিত কুমার বর্মন  সংবাদ প্রকাশকে জানান, সংসারের ঘানি টানতে গিয়ে তিনি ক্লান্ত। ২০১৫ সালের পর বেতন আর বাড়েনি। অথচ বাজারের উচ্চ মূল্য তার ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ।

বেসরকারি চাকরিজীবী বিল্লাল হোসেন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “গত এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা করে বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য পেঁয়াজ খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছি।”

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. সিদ্দিক সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা বন্ধ হলেই দেশের বাজারে দাম বেড়ে যায়। এবারও বন্ধ হওয়ায় দাম বেড়েছে। কিন্তু পাইকারি বাজারে সরবরাহ ঠিক আছে। খুচরা বাজারেও কোনো সংকট নেই। পাইকারি বিক্রেতারা বেশি দরে বিক্রি করায় খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।”

পাইকারি ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “সরকার থেকে নতুন করে আমদানি অনুমতি না মেলায় সরবরাহ সংকটে বাড়তে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। দেশের অন্যতম প্রধান পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে বস্তাপ্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত।”

এদিকে খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, আড়ত থেকে তারা বেশি দামে কিনেছেন, তাই বেশি দামে বিক্রি করছেন।

অন্যদিকে আড়তদাররা বলছেন, স্থলবন্দরের আশপাশের ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ মজুত করে বেশি দামে বিক্রি করছেন। পাশাপাশি সরকার নতুন করে পেঁয়াজ ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) না দেওয়ায় দাম বাড়ছে।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে গত এক মাসে (১৯ এপ্রিল থেকে ১৯ মে) নিত্যপণ্যের এই মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় আছে আটা, ময়দা, ভোজ্যতেল, ডাল, ডিম, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, শুকনা মরিচ, চিনি ও লবণ। তাদের হিসেবে, গত এক মাসে বিভিন্ন পণ্যে ১ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। ১০০ শতাংশ দাম বেড়েছে দেশি নতুন-পুরোনো রসুনের। আটা ও ময়দার দাম কেজিতে বেড়েছে যথাক্রমে ৩০ ও ১৯ শতাংশ পর্যন্ত।

Link copied!