রাজধানীর আমিনবাজার এলাকায় তুরাগ নদে কয়লার ঘাটে ট্রলারডুবির ঘটনার ৩২ ঘণ্টা পর উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা হয়েছে।
এ অভিযানে চার শিশু ও এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হলেও এখনো নিখোঁজ দুজনের সন্ধান মেলেনি।
রোববার (১০ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় নৌ-পুলিশের পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নৌ-পুলিশের পরিদর্শক বলেন, “অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা হলেও আশেপাশের দুই-তিন কিলোমিটার এলাকা সার্চ করা হবে। আমরা দ্বিতীয় দিনের মতো আজ (রোববার) সকাল থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করি। তবে দুপুর পর্যন্ত কাউকে উদ্ধার করতে পারিনি।”
নৌ-পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, “এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। সব বিষয় পর্যালোচনা ও পর্যবেক্ষণ করে এ বিষয়ে নৌ-পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হবে।”
এছাড়া স্থানীয়রা বলছেন, “নৌকার যাত্রীদের মধ্যে এখনো দুই জন নিখোঁজ। তবে ট্রলারটিকে ধাক্কা দেওয়া বাল্কহেড শনাক্ত করতে পারেনি নৌ-পুলিশ।”
শনিবার (৯ অক্টোবর) ভোর ৫টার পর বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারটি তলিয়ে যায়। ডুবে যাওয়ার সময় নৌকার কয়েকজন যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠে আসেন। এরপর সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। অভিযানে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ডুবুরি দল এবং নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, নৌ-পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ অংশ নেয়। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ চার শিশু ও এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে তীব্র স্রোত ও আলোস্বল্পতার কারণে প্রথম দিনের অভিযান স্থগিত করে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক দিনমনি শর্মা বিআইডব্লিউটিএর গাবতলী ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে জানান, ট্রলারডুবির ঘটনায় নদী থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ডুবুরি দল। তাদের মধ্যে চার শিশু ও একজন নারী রয়েছেন। তাদের মধ্যে শিউলি আক্তার (২৭), রূপন (৪) ও আরমানের (৩) নাম জানা গেলেও উদ্ধার অপর দুই শিশুর পরিচয় এবং নৌকায় কতজন যাত্রী ছিল তা জানা যায়নি।
অ।পরদিকে ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালকের ধারণা, নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে মরদেহ ভেসে দূরে চলে যেতে পারে। এক্ষেত্রে স্থানীয় মানুষদের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। কোনো মরদেহ ভাসতে দেখলে খবর দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।