বিদ্যুৎ ঘাটতি কমাতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের জন্য নামাজের সময় ব্যতীত প্রতিটি মসজিদের এসিও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, সকল দোকানপাট ও মার্কেট রাত ৮টার পর বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ সময় সরকারি অফিসের সভাগুলো অনলাইনে পরিচালনা করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) থেকে সারাদেশে এলাকাভিত্তিক সময় নির্ধারণ করে লোডশেডিং হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের কিছু এলাকার বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) দিনে এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কোন এলাকায় কখন লোডশেডিং হবে, সেটি তাদের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
সোমবার (১৮ জুলাই) অনলাইনে তালিকা প্রকাশের পর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের ধারণসক্ষমতার বেশি ক্লিক পড়ায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, “মঙ্গলবার থেকে চালু হবে সূচি অনুযায়ী লোডশেডিং। প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং রাখা হয়েছে সূচিতে। ফলে সারা দিনে যে কোনো এক ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকবেন গ্রাহকরা।”
লোডশেডিংয়ের সময়সূচির সম্ভাব্য তালিকা ডিপিডিসির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘সম্ভাব্য লোডশেডিং শিডিউল’ নামের লিংকে ক্লিক করলেই সময়সূচি জানা যাবে।
ঢাকা ও আশপাশের ৩৬টি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ডিপিডিসি। ঢাকার মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি বিদ্যুৎসেবা দিচ্ছে: আদাবর, আজিমপুর, বনশ্রী, বাংলাবাজার, বংশাল, বাসাবো, ডেমরা, ধানমন্ডি, ঝিগাতলা, জুরাইন, কাকরাইল, কামরাঙ্গীরচর, খিলগাঁও, লালবাগ, মানিকনগর, মাতুয়াইল, মগবাজার, মতিঝিল, মুগদাপাড়া, নারিন্দা, পরীবাগ, পোস্তগোলা, রাজারবাগ, রমনা, সাতমসজিদ, শ্যামলী, শেরেবাংলা নগর, শ্যামপুর, স্বামীবাগ ও তেজগাঁও এলাকায়। আর নারায়ণগঞ্জের মধ্যে রয়েছে: ফতুল্লা, কাজলা, পূর্ব ও পশ্চিম নারায়ণগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ ও শীতলক্ষ্যা।
তবে গ্রাহকরা সাশ্রয়ী হলে লোডশেডিং শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব বলেও মনে করেন ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
সম্ভাব্য লোডশেডিংয়ের শিডিউল দেখতে ক্লিক করুন।