করোনায় অনেক মানুষ দরিদ্র হয়েছে, চাকরি হারিয়েছে, পণ্যের দাম বেড়েছে, ডিজেলের দাম বাড়ায় সব পরিবহনের ভাড়া বেড়েছে। সাধারণ মানুষের ওপর এই চাপ দেওয়াটা কতটুকু যৌক্তিক- এ প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, “পুরোটাই যৌক্তিক। সরকার কোথা থেকে টাকা পাবে? রেভিনিউ অর্জন করেই সরকারকে কাজ করতে হচ্ছে। তারপরও সরকার যতটুকু সম্ভব এটা সামঞ্জস্য করে দেয়। তেলের দাম কি আমরা বাড়িয়েছি? সরকার বাড়িয়ে দিয়েছে?”
বিশ্ব বাজারে দাম বাড়ায় দেশেও তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী প্রশ্ন করেছেন, তেলের দাম কি আমরা বাড়িয়েছি, সরকার বাড়িয়ে দিয়েছে?
বুধবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ পাল্টা প্রশ্ন করেন মন্ত্রী।
বিপিসি ৪৩ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে, কিন্তু জ্বালানির দাম কমেনি- এ প্রসঙ্গে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, “এই যে সেফটিনেট প্রকল্পগুলো আছে, এগুলো তো সরকার টাকা প্রিন্ট করে চালাচ্ছে না। সরকারকে টাকা আয় করে চালাতে হয়। এগুলো তো শেয়ার করতে হয় না। তারপরও সরকার যতটুকু পারে শেয়ারিং করে। সামান্য যেটা না হলেই নয় সেটা কনজ্যুমারের ওপর দিই।”
জ্বালানির দাম বৃদ্ধির ফলে ১০ শতাংশ ভাড়া বাড়ার কথা থাকলেও ২৭ শতাংশ বাড়ানোর বিষয়ে সিপিডির বক্তব্যের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “এটা আমাকে দেখতে হবে। আমি দেখে জবাব দেবো। আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করবো। তাদের খরচ কতে, চার্জ কত করেছে সেটি আলোচনা করে জানাব।”
এ সময় কামাল আরো বলেন, “অর্থমন্ত্রী হিসেবেও আমার দায়িত্ব আছে। আমাকে রেভিনিউ জোগান দিতে হয়। রেভিনিউ জোগান দিতে না পারলে প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে না। আমরা পিছিয়ে যাবো, আমরা পিছিয়ে যেতে চাই না। আমরা শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে কাজটি করবো। আমরা শেয়ার করবো, যতক্ষণ পারবে সরকার বহন করবে। সরকার বহন করতে না পারলে আপনারা জানতে পারবেন।”