টাকার মান মার্কিন ডলারের বিপরীতে কমছেই। ডলারের চাহিদা বাড়ায় টাকা মান হারাচ্ছে। সোমবার (১৬ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি মার্কিন ডলারের বিনিময় মূল্য ৮০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করেছে। আর গত ২০ দিনের ব্যবধানে তিন দফায় ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন হলো ১ টাকা ৩০ পয়সা।
ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমায় রপ্তানিকারক ও প্রবাসীরা লাভবান হবেন। অন্যদিকে আমদানিকারকদের খরচ বাড়বে।
জানা যায়, জানুয়ারি মাসের আগে মার্কিন ডলারের দাম ছিল ৮৫ টাকা ৮০ পয়সা। জানুয়ারির শুরুতে ডলারের বিনিময় মূল্য ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২৩ মার্চ ডলারের দাম আরও ২০ পয়সা বাড়ানো হয়। এতে তা ৮৬ টাকা ২০ পয়সায় দাঁড়ায়। ২৭ এপ্রিল আরও ২৫ পয়সা বাড়ানো হয়, এতে বিনিময় মূল্য দাঁড়ায় ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা। ৯ মে ডলারের দাম ২৫ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। সোমবার (১৬ মে) আরও ৮০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।
যদিও খোলাবাজারে ডলারের দাম বহু আগেই ৯০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। খোলাবাজারে এখন ডলারের দাম ৯৩ টাকার বেশি। আর আমদানির এলসির বিপরীতে আমদানিকারকদের ডলার কিনতে হচ্ছে ৯৫–৯৬ টাকায়।
ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, ঈদের কারণে প্রবাসী আয় বেড়েছে। তবে আমদানি খরচ যে হারে বেড়েছে, প্রবাসী ও রপ্তানি আয় দিয়ে সেই খরচ মেটানো যাচ্ছে না। ফলে ডলার নিয়ে দেশের মুদ্রাবাজারে এখন অস্থিরতা বিরাজ করছে।
ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, “আমাদের রপ্তানির তুলনায় আমদানি বেশি, এ কারণে ডলারের উপর চাপ পড়েছে। বাজার বিবেচনা করে ডলারের রেট ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।”