রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় গুরুতর আহত ইমরান হোসেন (২৫) নামে আরও একজনের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুন) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি মারা যান। এ নিয়ে ভয়াবহ এই বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ জনে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ইমরানের শরীরের মোট ৯০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তার শ্বাসনালীও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্তমানে তার মরদেহে হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহত ইমরানের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার লাউকাঠি গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আব্দুল মজিব ভূঁইয়ার ছেলে। ঢাকায় মগবাজার এলাকায় থাকতেন এবং বিস্ফোরণ হওয়া ভবনের নিচতলায় থাকা বেঙ্গল মিটে কাজ করতেন। তার স্ত্রীর নাম তামান্না।
গত রোববার (২৭ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মগবাজার ওয়্যারলেস এলাকার একটি ভবনের নিচতলায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন দুই জন। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরও পাঁচ জন। আহত হন ৬০ জনের বেশি। তারা রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
সর্বশেষ মঙ্গলবার (২৯ জুন) বিধ্বস্ত হওয়া ওই ভবনের নিচতলার সিঁড়ির নিচ থেকে হারুনুর রশিদের (৬৫)) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই ভবনের কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করতেন। দুর্ঘটনটির পর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন।