• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চাকরির ভুয়া কনফারমেশন লেটার দিত চক্রটি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২২, ০৩:২০ পিএম
চাকরির ভুয়া কনফারমেশন লেটার দিত চক্রটি

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পত্রিকায় এসএসসি-এইচএসসি পাসে ৪০ হাজার টাকা বেতনের বিজ্ঞাপন দিত একটি চক্র। এরপর ভুয়া কনফারমেশন লেটারও দেওয়া হতো। এক পর্যায়ে ল্যাপটপ ও মোটরসাইকেল দেওয়ার লোভ দেখিয়ে তাদের থেকে দফায় দফায় মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত প্রতারকরা। এমন চক্রের মূল হোতাসহ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

গ্রেপ্তাররা হলেন মো. মজিবুর রহমান (৪২), লাবনী আক্তার (২৩) ও জান্নাতুল ফেরদৌস ময়না (২০)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৪টি মোবাইল, ৬০টি বিভিন্ন কোম্পানির সিম কার্ড, চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া ৪০টি জাতীয় পরিচয়পত্র, ১৪৮টি বায়োডাটা ও ৩০টির বেশি ভুঁইফোড় কোম্পানি ও এনজিওর নামে করা নিয়োগপত্র ও স্ট্যাম্প সিল জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সাইবার মনিটরিং টিমের একটি দল রাজধানীর দক্ষিণখান থানার আশকোনা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।

বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সাইবার পুলিশ সেন্টারের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রেজাউল মাসুদ।

মো. রেজাউল মাসুদ জানান, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। তারা উত্তরায় নারী ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র নামে একটি অফিস খুলে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করে। বিভিন্ন জেলার শিক্ষিত ও বেকার যুবকদের চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে ও জামানত বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা রাখেন। কখনও প্রশিক্ষণ, ল্যাপটপ কিংবা মোটরসাইকেল দেওয়ার নাম করে অগ্রিম অর্থ হাতিয়ে নিতেন।

এ বিষয়ে সাইবার পুলিশ সেন্টারে (সিপিসি) একটি অভিযোগ আসে। অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, অভিযোগকারী ভিকটিম ছাড়াও সারাদেশে অসংখ্য বেকার চাকরিপ্রার্থী এ চক্রের মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি মজিবুর রহমানের বরাত দিয়ে বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রেজাউল মাসুদ বলেন, তিনি তার অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে ৫ বছরে প্রায় ২৫ হাজার সিভি/বায়োডাটা সংগ্রহ করেছেন। এসব বায়োডাটা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে ১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করা হয়েছে বলে জানান সিআইডির এই কর্মকর্তা।

Link copied!