মানিকগঞ্জের ঘিওরে বিয়ের মাত্র আড়াই মাসের মাথায় চাকরি নিয়ে দাম্পত্য কলহের জেরে সুমি আক্তার (২২) নামের এক নববধূকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মো. রাসেল মোল্লা ওরফে রূপককে (২৮) ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।
প্রায় আড়াই মাস আগে পারিবারিকভাবে কাকজোর গ্রামের মো. রহম আলীর মেয়ে সুমি আক্তারের সঙ্গে রাসেল মোল্লার বিয়ে হয়।
বুধবার (২৭ জুলাই) সকাল ১১টায় রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর।
মুক্তা ধর জানান, রাসেল মোল্লা ১৯ বছর ধরে মানিকগঞ্জ জজকোর্টে আইনজীবীর সহকারী হিসেবে কাজ করছেন। অন্যদিকে বিয়ের আগে থেকে সুমি আক্তার একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। বিয়ের সময় কথা ছিল সুমি বিয়ের পরও চাকরি করবেন। কিন্তু বিয়ের পর স্বামীর পরিবারের সদস্যদের মত পাল্টে যায়। তারা সুমিকে চাকরি ছাড়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সুমি জানান, চাকরি ছাড়ার কথা তিনি ইতোমধ্যে অফিসে জানিয়েছে। অফিস তার বিকল্প দক্ষ কর্মী খুঁজছে। নতুন কর্মী পাওয়া পর্যন্ত তাকে চাকরি না ছাড়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। চাকরি ছাড়ার বিষয়টি ছাড়াও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় নিয়েও সুমি আক্তারের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন।
মুক্তা ধর আরও জানান, ঘটনার দিন, ২১ জুলাই সকাল ৮টা থেকে ১০টার মধ্যবর্তী যেকোনো সময় চাকরি ছাড়ার বিষয়ে রাসেল মোল্লা ও সুমি আক্তারের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রাসেল স্ত্রী সুমি আক্তারকে কিল-ঘুষি, লাথি মারতে থাকলে রওশন আরা বেগম (রাসেলের মা) বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে নিবৃত্ত না হয়ে রাসেল ধারালো দা দিয়ে গলায় কোপ দিয়ে সুমিকে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় সুমি আক্তারের বাবা মো. রহম আলী রাসেলকে একমাত্র আসামি করে ঘিওর থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।