আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেছেন, এদিক-ওদিক না ঘুরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। জনগণের রায় মেনে নেওয়ার সৎ সাহস শেখ হাসিনার আছে।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকালে তার সরকারি বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
কাদের বলেন, “নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতার পালাবদলের কোনো সাংবিধানিক পথ নেই। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণই তাদের পরবর্তী সরকার নির্বাচন করবে।”
এ সময় দলটির প্রতি ইঙ্গিত করে কাদের বলেন, “ষড়যন্ত্র করে গত একযুগ ধরে কোনো লাভ হয়নি, বাকি সময়ও লাভ হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।”
‘আন্দোলন শুরু হলে মানুষ রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়বে’- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “জনগণ ঝাঁপিয়ে পড়াতো দূরের কথা, আন্দোলনের ডাক দিয়ে বিএনপি নেতারাই ঝাঁপ বন্ধ করে ঘরে অবস্থান নেয়, হিন্দি সিরিয়াল দেখে। জানালা দিয়ে উঁকিঝুঁকি মেরে পুলিশের গতিবিধি লক্ষ্য করে।”
তিনি বলেন, “গত ১২ বছর ধরে বিএনপির কথিত আন্দোলনের ডাক রাজপথে কোনো কম্পন তুলতে পারেনি, তাই জনগণ মনে করে, এসব হাঁকডাক আষাঢ়ে গল্পের মতো। ফেসবুক আর মিডিয়ায় যতটা গর্জে, বাস্তবে রাজপথে ততটা বর্ষে না।”
এছাড়া করোনার অভিঘাত মোকাবিলায় সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি দেশের মানুষ এখন নিজের অবস্থান উন্নয়নে প্রাণান্ত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ সময় গণঅভ্যুত্থানের দিবাস্বপ্নে বিভোর বিএনপি।
তিনি বলেন, “বিএনপি ভাবছে, আন্দোলনের ডাক দিলেই মানুষ হুড়মুড় করে বেরিয়ে আসবে। প্রকৃতপক্ষে এসব তাদের আকাশকুসুম ভাবনা। বিএনপি নেতারা যা বলছেন, নিজেরাও তা বিশ্বাস করেন না বলে জনগণ মনে করে।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “গত একযুগের বেশি সময় ধরে আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতা থেকে বিএনপি কোনো শিক্ষা নিতে পেরেছে বলে মনে হয় না। বিএনপি নেতারা সরকারের বিরোধিতাকে দেশবিরোধিতায় নিয়ে গেছেন। তারা ক্ষমতার জন্য রাষ্ট্রের ইমেজ নষ্ট করতেও ভ্রুক্ষেপ করছে না। নিজেরা আন্দোলন তো করতেই পারে না, আবার পরাশ্রয়ী আন্দোলনে ভর করতে গিয়েও ব্যর্থ হয়।”
কাদের বলেন, “জনমানুষের প্রয়োজনে জনগণের পাশে না দাঁড়ালে জনগণও কখনও কোন রাজনৈতিক দলের আহ্বানে সাড়া দেয় না।”