• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘ঈদযাত্রায় নারকীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২২, ০৩:২৭ পিএম
‘ঈদযাত্রায় নারকীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে’

এবারের ঈদুল ফিতরে দ্বিগুণ মানুষ ঢাকা ছাড়বে জানিয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলেছে, যানজট ও নানা অব্যবস্থাপনার কারণে গণপরিবহনে সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা না গেলে এবারের ঈদযাত্রায় নারকীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

রোববার (১৭ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ঈদযাত্রায় অসহনীয় যানজট, পথে পথে যাত্রী হয়রানি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধের দাবি’ শিরোনামে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। যাত্রী কল্যাণ সমিতির আশঙ্কা, ২৫ রমজান থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত দুপুরের পর থেকে গভীর রাত অবধি রাজধানী অচল হয়ে যেতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণাকেন্দ্রের পরিচালক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, “দুর্ঘটনা গবেষণাকেন্দ্রের ২০১৮ ও ২০১৯ সালের তথ্য বলছে, ১ কোটি ১৫ লাখ মানুষ ঈদের সময় বাড়িতে গেছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত দুই বছরে চার ঈদে মানুষ গ্রামে কম গেছে। আমাদের তথ্য বলছে, প্রতি ঈদে কমপক্ষে ৬০ লাখ মানুষ গ্রামে গেছেন। আমাদের চলমান একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ঈদের আগে চার দিনে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়বেন। এ সময় প্রতিদিন বাসে ৮ লাখ, ট্রেনে ১ লাখ, লঞ্চে দেড় লাখ, ব্যক্তিগত গাড়িতে প্রায় ৪ লাখ, মোটরসাইকেলে প্রায় ৪ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়তে পারবেন। বাকি প্রায় ১২-১৩ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়বে ট্রাক, ট্রেনের ছাদে করে। তখন দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যাবে।”

হাদিউজ্জামান প্রস্তাব রেখে বলেন, “স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ২০ রমজানের পর বন্ধ হয়ে যাবে। পরিবারের সদস্যরা, যাদের কাজ নেই, তাদের ২০ রমজান থেকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে হবে। যারা কর্মজীবী, ছুটি পেলে তারা পরে যাবেন। তাহলে কিছুটা স্বস্তি মিলতে পারে।”

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!