• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আমিনুর হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীসহ গ্রেপ্তার ২


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২২, ০২:৪৩ পিএম
আমিনুর হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীসহ গ্রেপ্তার ২

ঢাকার ধামরাইয়ে আমিনুর হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টায় র‍্যাব-৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল সাভার মডেল থানাধীন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তাররা হলেন মূল পরিকল্পনাকারী শিপলু (২০) ও তার সহযোগী রাসেল (১৬)। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি ও চাপাতি জব্দ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-৪-এর সহকারী পরিচালক পুলিশ সুপার (এএসপি) জিয়াউর রহমান চৌধুরী।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে র‌্যাব জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি প্রদান করে। শিপলুর বাবা মারা যাওয়ার পর অনুমতি ছাড়াই তার মা ভিকটিমের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। প্রাথমিকভাবে আসামি তা মেনে না নিলেও পরবর্তী সময়ে তা মেনে নিতে থাকে। কিন্তু ভিকটিম মাদকসেবী হওয়ায় আসামির সঙ্গে তাদের পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। এছাড়া তর্কবিতর্কের বিভিন্ন সময়ে শিপলু ভিকটিমকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যেত। পরবর্তী সময়ে ১৬ আগস্ট দুপুর ২টায় ভিকটিম বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, ভিকটিম আমিরুলকে তার স্ত্রী শিল্পী বেগম সাভার থেকে ডেকে ধামরাইয়ের নান্নার ইউনিয়নের রোহিঙ্গা মার্কেট এলাকায় নিয়ে যায় এবং সেখানে জোরপূর্বক তালাক নামায় স্বাক্ষর নেয়। এরপর আমিরুল কৌশলে সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে একটি ভ্যানে উঠে রওনা হয়, কিন্তু পথিমধ্যে আসামি শিপলু, তার আপন ভাইদ্বয় এবং রাসেলের সহযোগিতায় পরিকল্পিতভাবে ভিকটিম আমিনুরকে ছুরি দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ গুমের চেষ্টা করে।

সেদিন যা ঘটেছিল
১৭ আগস্ট দুপুর ১টার দিকে ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন নান্নার উপজেলার কান্দাকাউলি এলাকার পশ্চিম পাশের ধানক্ষেতে একটি রক্তাক্ত কাটা জখমসহ অজ্ঞাত যুবকের লাশ দেখতে পাওয়া যায়। পরবর্তী সময়ে এলাকাবাসীর মাধ্যমে স্থানীয় থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

এরপর দেখা যায় নিহতের ডান পায়ের নিচে মাংস নেই এবং হাড় বেরিয়ে গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তৎক্ষণাৎ লাশটির বিস্তারিত পরিচয় না পাওয়া গেলেও এলাকাবাসী ও স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় জানা যায় যে নিহত আমিরুল ইসলাম সাভারের গেন্ডা টিয়াবাড়ি এলাকার ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে। পরবর্তী সময়ে এ-সংক্রান্তে ভিকটিম আমিনুর ইসলামের মা আমেনা বেগম বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

গ্রেপ্তারদের প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য ধামরাই থানায় হন্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

Link copied!