• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আদালতপাড়ার যত ‘আলোচিত’ ঘটনা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩১, ২০২১, ০৯:০৯ এএম
আদালতপাড়ার যত ‘আলোচিত’ ঘটনা

আর মাত্র একদিন, এরপর বিদায় নিচ্ছে ২০২১ সাল। মহামারি করোনার কারণে এ বছর দেশের উচ্চ আদালতে কখনও ভার্চুয়ালি আবার কখনও শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ চালাতে হয়েছে। তবে বছরজুড়ে আলোচিত বিভিন্ন রিট, মামলা ও রায়ের জন্য মানুষের দৃষ্টি ছিল দেশের উচ্চ আদালতের দিকে।

নোবেলজয়ী ড. ইউনূসকে আদালতে তলব

গ্রামীণ টেলিকমে কর্মী নিয়োগের বিষয়ে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে তলব করেন হাইকোর্ট। ২০২১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি  বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে ১৬ মার্চ ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভার্চুয়ালি হাজির হয়ে আদালত অবমাননার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন।

সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের কারাদণ্ড বহাল

দুই যুগ আগের একটি মামলায় ২০২১ সাল সালের ৯ মার্চ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এ সময় বিচারিক আদালতের দেওয়া ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডও বহাল রাখা হয়। একইসঙ্গে টাকা পরিশোধ না করলে তাকে আরও এক বছর কারাভোগের নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে বিচারিক আদালত হাজি সেলিমকে যে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। আর দুর্নীতি দমন কমিশন সেই অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় উচ্চ আদালত ওই অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেন।

বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে দুর্ব্যবহার : এসপির ক্ষমা প্রার্থনা

২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি কুষ্টিয়া ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের সময় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহসিন হাসানের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ঘটনায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন কুষ্টিয়ার ওই সময়ের পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম তানভীর আরাফাত।

এর আগে ২০ জানুয়ারি দুর্ব্যবহারের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাতকে তলব করেন আদালত।

পাবজি-ফ্রি ফায়ার গেম বন্ধের নির্দেশ

দেশের সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পাবজি ও ফ্রি ফায়ারের মতো ক্ষতিকারক গেম বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। 

গত ১৬ আগস্ট এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ২৪ জুন দেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার, লাইকিসহ এই ধরনের অনলাইন গেম ও অ্যাপ বন্ধ করে অবিলম্বে অপসারণের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে রিটটি করা হয়।

ওই সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগসচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, শিক্ষাসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিবাদীদের ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। ওই সব গেম ও অ্যাপের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে তা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানিয়ে ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ১৯ জুন সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশের জবাব না পেয়ে রিটটি করা হয়।

জাপানি দুই শিশুকে নিয়ে মায়ের আইনি লড়াই

জাপানি শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনার জিম্মা নিয়ে গত চার মাস ধরে উচ্চ আদালতে আইনি লড়াই চলছে। এই আইনি লড়াই বর্তমানে আপিল বিভাগে চলমান। 

সর্বশেষ গত ১৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ আদেশে বলেছেন, শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা আগামী ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত জাপানি মা নাকানো এরিকোর কাছে থাকবেন। এই সময় শিশুদের নিয়মিত স্কুলে নিয়ে যেতেও বলা হয়েছে।

তবে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে যেকোনো সময় বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফ শিশুদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। ৩ জানুয়ারি পরবর্তী আদেশ দেবেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ওই আদেশ দেন।

গত ৫ ডিসেম্বর দুই শিশুকে নিজের জিম্মায় নিতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন জাপানি মা নাকানো এরিকো। ২১ নভেম্বর শিশু দুটি বাংলাদেশে তাদের বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবে বলে রায় দেন হাইকোর্ট। 

রায়ে বলা হয়, তবে জাপান থেকে এসে মা বছরে তিনবার ১০ দিন করে দুই সন্তানের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে পারবেন। জাপানি মায়ের আসা-যাওয়া ও থাকা-খাওয়ার সব খরচ বাবা ইমরান শরীফকে বহন করতে হবে।বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

এস কে সিনহার ১১ বছরের কারাদণ্ড

গত ৯ নভেম্বর ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ পাচারের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাকে ১১ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম। 
এছাড়া এস কে সিনহার ৭৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মানিলন্ডারিং আইনে এস কে সিনহাকে সাত বছর কারাদণ্ড ও ৪৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

এছাড়াও অর্থ আত্মসাতের মামলায় চার বছর ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ মামলায় ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী), রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়কে দেওয়া হয়েছে তিন বছরের কারাদণ্ড। ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন ও ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারীকে তিন বছর কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

২০১৯ সালের ১০ জুলাই মামলাটি করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলা করেন সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।

২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর আদালতে এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ। ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলায় সাক্ষ্য দেন ২১ জন।

কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেন আপিল বিভাগ

এ বছরের আদালতপাড়ার সবচেয়ে আলোচিত ঘটনার একটি হলো বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেন আপিল বিভাগ। 

গত ২২ নভেম্বর স্থগিতাদেশ থাকার পরও ধর্ষণ মামলার এক আসামিকে জামিন দেওয়ায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর সাবেক বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেন (সিজ) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় ৭২ ঘণ্টা পর ধর্ষণ মামলা নেওয়া যাবে না মর্মে পর্যবেক্ষণ দিয়ে আলোচনায় আসেন বিচারক কামরুন্নাহার। পরে ওই অভিযোগে তাকে বিচারকাজ থেকে প্রত্যাহার করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। যদিও লিখিত রায়ে বিতর্কিত পর্যবেক্ষণ বাদ দেন তিনি।

এরপরই আলোচনায় আসে তিন বছরের পুরনো এক ধর্ষণ মামলায় আসামির জামিনকাণ্ড। যার ধারাবাহিকতায় তাকে তলব করেন আপিল বিভাগ।

এর আগে ১৪ নভেম্বর কামরুন্নাহারের ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা সাময়িকভাবে স্থগিত করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। একই সঙ্গে তাকে এজলাসে না বসার নির্দেশ দেওয়া হয়।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পরিচালনায় বোর্ড গঠন

গত ১৮ অক্টোবর দেশিয় জনপ্রিয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পরিচালনার জন্য আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন  হাইকোর্ট। 

বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, ওএসডিতে থাকা আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ, কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।

ইভ্যালির ব্যবস্থাপনায় গঠিত বোর্ড কী ধরনের কাজ করবে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। 

ওই সময় আদালত বলেন, “লিখিত আদেশ পাওয়ার পরপরই তারা বোর্ড মিটিংয়ে বসবেন। কোথায় কী আছে সবকিছু বুঝে নেবেন। কোম্পানি যেভাবে চলে, সেভাবে প্রথমে বোর্ড মিটিং বসবে। তাদের (বোর্ড) দায়িত্ব হলো টাকাগুলো কোথায় আছে, কোথায় দায় আছে, তা দেখা। কমিটি বসে বিষয়গুলো দেখবে।”

সবকিছু বিবেচনার পর বোর্ড যদি দেখে প্রতিষ্ঠানটির চলার যোগ্যতা নেই, তখন অবসায়নের জন্য প্রসিড (প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া) করবে। আর যদি বলে চালানো সম্ভব, তাহলে চলবে।

রাজারবাগ পীরের কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিক নজরদারির নির্দেশ

রাজারবাগ দরবারের পীর দিল্লুর রহমান, তার সহযোগী ও অনুসারীদের কার্যক্রম ‘জঙ্গিদের কার্যক্রমের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ’ বলে গত ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টে দেওয়া এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। 

ওই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার তদন্তের স্বার্থে সিআইডি, কাউন্টার টেররিজম ও দুদক চাইলে রাজারবাগ দরবার শরীফের পীরসহ চারজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে বলে আদেশ দেন উচ্চ আদালত।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে রাজারবাগ দরবার শরীফ ও পীরের কর্মকাণ্ডের ওপর সার্বক্ষণিক নজরদারি করতে কাউন্টার টেররিজমকে নির্দেশ দেন আদালত।

এর আগে দেশের ছয় জেলায় পৃথক ৩৪টি মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ এনে রাজারবাগের পীর ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে আট ব্যক্তি হাইকোর্টে একটি রিট করেন। 

এছাড়া ধর্ষণ, মারধর, চুরি, মানবপাচারসহ নানা অভিযোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় করা ৪৯ মামলার চক্করে পড়ে রাজধানীর শান্তিবাগের বাসিন্দা ব্যবসায়ী একরামুল আহসান আরেকটি রিট করেন।

পরীমণিকে বারবার রিমান্ড 

গত ৪ আগস্ট বনানীর বাসা থেকে চিত্রনায়িকা পরীমণিকে গ্রেপ্তারের পর তিন দফায় মোট সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরদিন ৫ আগস্ট প্রথম দফায় চার দিন, ১০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় দুই দিন এবং ১৯ আগস্ট তৃতীয় দফায় আরও এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয় তার।গত ২ সেপ্টেম্বর পরীমণিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানোর ঘটনায় দুই বিচারক দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলামকে তলব করেন হাইকোর্ট। 

এর পর গত ৩১ অক্টোবর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে তারা নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

মাসুদ রানা সিরিজ : ২৬০ বইয়ের মালিকানা নির্ধারণ

বিদায়ী বছরে পাঠকপ্রিয় ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের ২৬০টি বইয়ের মালিকানা কার, সে বিষয়ে রায় দেন হাইকোর্ট। 

গত ১৩ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ে উল্লেখ করেন, সেবা প্রকাশনীর মাসুদ রানা সিরিজের ২৬০টি বইয়ের স্বত্ব আব্দুল হাকিমের, কাজী আনোয়ার হোসনের নয়।

এর আগে বইগুলোর লেখক হিসেবে শেখ আবদুল হাকিমের পক্ষে কপিরাইট অফিসের দেওয়া সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে সেবা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী কাজী আনোয়ার হোসেন রিটটি দায়ের করেন।


 

Link copied!