দেশি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের গ্রাহকদের আটকে পড়া টাকা ফেরত দেওয়া শুরু হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে যেসব ক্রেতা আগাম টাকা পরিশোধ করেছেন কিন্তু পণ্য পাননি, তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। এ বিষয়ে শিগগিরই উদ্যোগ নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে সোমবার (১০ জানুয়ারি) এ তথ্য জানা গেছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ ডিসেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ই-কমার্স সেল ফস্টার পেমেন্ট গেটওয়ের কাছে কিউকমের গ্রাহকদের আটকে পড়া টাকা ফেরত দেওয়া বিষয়ে জরুরি বৈঠক করে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ফস্টার পেমেন্ট গেটওয়ে এবং কিউকম ক্রেতাদের কার কত পাওনা রয়েছে, তার তালিকা তৈরি করবে। সে অনুযায়ী দুই প্রতিষ্ঠান একটি আংশিক তালিকা তৈরি করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। তালিকায় ছয় হাজার ৭২১ জন গ্রাহকের তথ্য রয়েছে। এসব গ্রাহক কিউকমে পণ্য অর্ডার করে আগাম ৫৯ কোটি পাঁচ লাখ ১০ হাজার ৩৪৭ টাকা পরিশোধ করেছেন, কিন্তু পণ্য পাননি। টাকা ফস্টার পেমেন্ট গেটওয়ের কাছে আটকে আছে।
এছাড়া ফস্টার পেমেন্ট গেটওয়ের কাছে কিউকম গ্রাহকদের মোট ৩৯২ কোটি টাকা আটকে আছে। এরমধ্যে ১৬৬ কোটি টাকা আটকা পড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক গত ৩০ জুনের এসক্রো সার্ভিস চালু করার পর। এসব ক্রেতা কোনো পণ্যই পাননি। এমনকি কিউকম কর্তৃপক্ষও এ টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে নিতে পারেনি।
এসক্রো ব্যবস্থায় ক্রেতা পণ্য হাতে পাওয়ার আগ পর্যন্ত বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের হিসাবে জমার আগে পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানের হিসাবে থাকে।
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ই-কমার্স সেলের প্রধান এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, “ফস্টার ও কিউকমের তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক গ্রাহককে টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। পাশাপাশি আগামী ১৬ জানুয়ারির মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তালিকা দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তী তালিকা পাওয়া গেলে তাদের টাকাও ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।”
সফিকুজ্জামান আরও বলেন, “আটকে পড়া টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলো। আশা করা যায়, আটকে থাকা বাকি অর্থও গ্রাহকদের ফেরত দেওয়া সম্ভব হবে।”
এতে ই-কমার্সের ওপর গ্রাহকদের আস্থা বাড়বে বলেও মনে করেন তিনি।