৪ নভেম্বর, বাংলাদেশ সংবিধান দিবস। বাংলাদেশের সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন। সংবিধানে স্বাধীন বাংলাদেশের মূল চরিত্র বর্ণিত রয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করার মাত্র ১০ মাসের মধ্যে সংবিধান প্রণয়ন করে।
১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ‘সংবিধান বিল’ হিসেবে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত ও অনুমোদিত হয়।
সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল তৎকালীন আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি করে ৩৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন হয়। ১৭ এপ্রিল থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত এই কমিটি বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করে। জনগণের মতামত সংগ্রহের জন্য আহ্বান করা হয়। সংগৃহীত মতামত থেকে ৯৮টি সুপারিশ গ্রহণ করা হয়। ১২ অক্টোবর গণপরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশনে ড. কামাল হোসেন খসড়া সংবিধান বিল আকারে উত্থাপন করেন।
মূল সংবিধান ইংরেজি ভাষায় রচিত হয়। পরে একে বাংলায় অনুবাদ করা হয়। বর্তমানে মূল সংবিধান বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় বিদ্যমান। বাংলাদেশের সংবিধান এই পর্যন্ত সর্বমোট ১৭ বার সংশোধন হয়েছে।
সংবিধানে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। গণপরিষদে বাংলাদেশ সংবিধানের ওপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এ সংবিধান শহীদের রক্তে লিখিত, এ সংবিধান সমগ্র জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার মূর্ত প্রতীক হয়ে বেঁচে থাকবে।’
বাংলাদেশ সংবিধান দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি ই-পোস্টার প্রকাশ করেছে।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বিকেলে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বাহাত্তরের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা জাতীয় কমিটি।