অর্থ পাচার মামলায় বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক ভূঁইয়া এনু, রুপন ভূঁইয়াসহ ১১ জনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে ৪ কোটি টাকা অর্থদণ্ড জরিমানা করা হয়।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ওয়ারী থানায় করা অর্থ পাচার মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ইকবাল হোসেন এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন এনামুল হক ভূঁইয়া এনু, রুপন ভূঁইয়া, জয় গোপাল সরকার, নবীর হোসেন শিকদার, মেরাজুল হক ভূঁইয়া শিপলু, রশিদুল হক ভূঁইয়া, সহিদুল হক ভূঁইয়া, পাভেল রহমান, তুহিন মুন্সি, আবুল কালাম আজাদ ও সাইফুল ইসলাম।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামিদের মধ্যে তুহিন জামিনে আছেন। শিপলু, রশিদুল, সহিদুল ও পাভেল পলাতক। বাকিরা কারাগারে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের এনুর কর্মচারী আবুল কালাম আজাদের ওয়ারীর লালমোহন সাহা স্ট্রিটের বাড়ি ঘেরাও করে র্যাব। ওই সময় কালামের স্ত্রী ও মেয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাড়ির দোতলা থেকে দুই কোটি টাকা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় র্যাব-৩-এর পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যান) জিয়াউল হাসান ২৫ নভেম্বর ওয়ারী থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২১ জুলাই ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন সিআইডির পরিদর্শক মোহাম্মদ ছাদেক আলী। ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়। আদালত ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
গত ৬ এপ্রিল এই মামলায় রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। বিচারক ইকবাল হোসেন ছুটিতে থাকায় সেদিন রায় হয়নি। পরে আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মনির কামাল ২৫ এপ্রিল রায়ের দিন ধার্য করেন।